“Denial and Recognize: The Case of Bangladesh Genocide” বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার
অটোয়া- আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এবং কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডা (CRRIC)- এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস) “Denial and Recognize: The Case of Bangladesh Genocide” শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করে। কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (CMHR) কর্তৃক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি ও প্রদর্শনের বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব ( সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, কানাডায় বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এবং বিসিবিএস-এর চিফ প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড: খলিলুর রহমান, কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ-এর অধ্যাপক এবং পরিচালক অধ্যাপক ড: এডাম মূলার, কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের কিউরেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড: জেরেমি ম্যারন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর শেখ হাফিজুর রহমান (কারজন), Rotary Peacedays-এর প্রতিনিধি Mr Gary Senft, বিংহামটন-এর স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের ভিজিটিং স্কলার ড. তাওহীদ রেজা নূর এবং CRRIC-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. হেলাল মহিউদ্দিন সহ কয়েকজন গনহত্যার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং একটি জাতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংগঠিত এই সহিংসতার ব্যাপকতা এবং মাত্রার কারণে এর বৃহত্তর স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে একাত্তরের ভয়াবয় অভিজ্ঞতা এখনও আমাদের জাতির সম্মিলিত স্মৃতিতে প্রোথিত এবং এর প্রভাব একটি প্রজন্মকে আঘাত করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিহাসের এই অন্ধকার অধ্যায়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং গণহত্যার প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য CMHR -কে অনুরোধ করেন।
কিনোট বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর অ্যাডাম মুলার গণহত্যার যারা শিকার হয়েছেন তাঁদের পরিচিতি গঠনে ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে তার প্রত্যাখ্যান যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর শিকার হয়েছেন তাদের ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ৭১ এর গণহত্যার স্বীকৃতি অপরাধীদের দায়মুক্তির ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন যে শাস্তি এবং জবাবদিহিতা ভবিষ্যতের গণহত্যা প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি এবং এক্ষেত্রে দায়মুক্তি ভবিষ্যৎ গণহত্যার ক্ষেত্রে অণুঘটক।
কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিনিধি জেরেমি ম্যারন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অস্বীকার এবং বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি তাদের “ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স” গ্যালারিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যা সম্পর্কিত নতুন বিষয়বস্তু তৈরির জন্য জাদুঘরের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন যে অতীতের গণহত্যাকে অস্বীকার করলে তা ভবিষ্যতে তাদের পুনরাবৃত্তিতে ইন্ধন যোগায়। ৭১ এর গণহত্যার বিশ্বব্যাপী প্রচার ও স্বীকৃতির জন্য তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস সহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসকে অতি দ্রুত “ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স” গ্যালারি উন্মুক্ত করতে অনুরোধ করেন এবং এই উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সহযোগী সকল সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।
ওয়েবিনারে উপস্থিত সকল বক্তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত ১৯৭১ সালের ভয়াবহতাকে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের নৃশংসতা যাতে আর না ঘটে সেলক্ষ্যে কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস এই ইতিহাস দ্রুত প্রদর্শনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
International Seminar on ‘Denial and Recognize: The Case of Bangladesh Genocide’
Ottawa, ON – The Bangabandhu Center for Bangladesh Studies in Canada (BCBS), in collaboration with the Bangladesh High Commission in Canada, Liberation War Museum of Bangladesh, Centre for Genocide Studies at the University of Dhaka, and the Conflict and Resilience Research Institute Canada (CRRIC), organized an International Seminar titled ‘Denial and Recognize: The Case of Bangladesh Genocide’ on 22 September 2023. The primary focus of this Seminar was to review the progress made towards seeking recognition of the genocide perpetrated by Pakistani occupation forces in 1971 for exhibition at the Canadian Museum for Human Rights (CMHR).
Ambassador Masud Bin Momen, Foreign Secretary of Bangladesh was the Chief Guest of the Seminar while H.E. Dr. Khalilur Rahman, High Commissioner of Bangladesh in Canada addressed the Seminar as Chief Patron of the BCBS. Prof. Dr. Adam Muller, Professor and Director of Peace & Conflict Studies at the University of Manitoba, Dr. Jeremy Maron, Acting Head of Curation at the Canadian Museum of Human Rights, Mr Mofidul Hoque, Trustee, Liberation War Museum of Bangladesh, Professor Sheikh Hafizur Rahman (Karzon), Director of the Centre for Genocide Studies at the University of Dhaka, Mr Gary Senft of Rotary Peacedays, Dr Tawheed Reza Noor, Visiting Scholar at the State University of New York in Binghamton, Dr Helal Mohiuddin, Professor at North South University and Director of CRRIC were present, among others.
In his address, Foreign Secretary Ambassador Masud Bin Momen highlighted the lasting impact of the genocide perpetrated by the Pakistani occupation forces in 1971 and the importance of greater recognition given the enormity and scale of violence aimed at exterminating a nation. The trauma of 1971 is still vivid in our nation’s collective memory, and its repercussions have traumatized a generation. He thanked those who have tirelessly worked to highlight this dark chapter in history, including the Bangladesh Liberation War Museum, and Genocide Studies at Dhaka University, and requested the CMHR to finalize the formalities for the exhibition of the genocide.
Professor Dr. Adam Muller delivered the keynote speech, highlighting the importance of recognition in shaping identities and empowering victims. He stressed that denial of the Bangladesh genocide robs victims of their victimhood and weakens claims for post-conflict justice and redress. Recognizing the genocide, he argued, not only affirms the experiences and suffering of Bangladeshis but also challenges the idea that perpetrators may act with impunity. He also stated that punishment and accountability are key to preventing future genocides, and impunity is an enabler of genocide.
Jeremy Maron, representing the Canadian Museum for Human Rights, emphasized the importance of fighting against denial and distortion of human rights violations, including genocides and crimes against humanity. He discussed the museum’s commitment to developing new content related to the 1971 Bangladesh genocide in their “Breaking the Silence” gallery, which focuses on addressing denial, distortion, and minimization of human rights violations.
High Commissioner and the Chief Patron of the BCBS, Dr. Khalilur Rahman reiterated the urgency of recognizing the 1971 genocide, emphasizing that denial of past genocides contributes to their repetition in the present. He expressed gratitude for the collaboration and support received from various organizations, including the Canadian Museum for Human Rights. He urged the Canadian Museum for Human Rights to organize the “Breaking the Silence” for displaying the atrocities committed in 1971 as soon as possible and said that High level representatives from the Partner Organizations would attend the event.
All speakers unanimously agreed that the events of 1971 in Bangladesh constitute genocide and that the Canadian Museum for Human Rights is the appropriate venue to exhibit this history, emphasizing the need to prevent such atrocities from happening again in the future.