শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলের এম আর খান চা বাগানের দার্জিলিং টিলা দেখতে পর্যটকদের আনাগোনা
পর্যটন সমৃদ্ধময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার একেক চা-বাগানের সৌন্দর্য একেক রকম। নয়নাভিরাম সেই সৌন্দর্যের টানে বছর জুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। সম্প্রতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে এম আর খান চা-বাগানের ‘দার্জিলিং টিলা’। শীতের এ মৌসুমে টিলা দেখতে পর্যটকদের ভিড়ে এখন লক্ষণীয়।
শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে এম আর খান চা-বাগানের অবস্থান। বাগানের ৭ নম্বর সেকশনটি অনেকটাই ভারতের দার্জিলিংয়ে মতো দেখতে। সবুজের সমারোহে সাজানো-গোছানো জায়গাটি সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে ‘দার্জিলিং টিলা’ নামেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমের কারণে কয়েক মাস ধরে পর্যটকদের কাছে জায়গাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছুটির দিনগুলোয় এই জায়গায় স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। একসময় জায়গাটিতে যেতে অনুমতির প্রয়োজন হলেও এখন লোকজন বেশি হওয়ায় চা-বাগান কর্তৃপক্ষ প্রায় উন্মুক্ত করে দিয়েছে। চা-বাগানে প্রবেশের সময় নাম-ঠিকানা লিখে যেতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
এম আর খান চা-বাগানের ‘দার্জিলিং টিলা’য় গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে এসেছেন পর্যটকেরা। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। ছবির মতো সাজানো চা-বাগানে ঘুরে ঘুরে মুঠোফোনে ছবি তুলছেন তাঁরা। শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের চেয়ে এখন এই জায়গায় ভিড় একটু বেশিই দেখা যায়। মোটরসাইকেল, জিপ ও অন্যান্য যানবাহনে করে লোকজন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাওয়া–আসা করছেন।
পর্যটন শিল্পে নতুন সংযোজিত দৃষ্টিনন্দন ও অপরূপ সৌন্দর্যের এ টিলার চারপাশের সবুজ প্রান্তরে ভিড় জমিয়েছেন নারী-পুরুষ-শিশুসহ অসংখ্য দর্শনার্থী। দার্জিলিং টিলার সৌন্দর্যে দর্শনার্থীদের চোখে যেন আনন্দের জোয়ার বয়ে চলেছে। চারিদিকে সবুজ চা বাগান আর মনোমুগ্ধকর নানা প্রজাতির ছায়া বৃক্ষ। দৃষ্টি যতদূর যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। উঁচু নিচু অসমতল প্রকৃতিতে যেন সবুজ গালিচায় আচ্ছাদিত করে রাখা হয়েছে। এ চা-বাগানের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ যে কারো মনকে ভরিয়ে দিবে। পড়ন্ত শেষ বিকেলে টিলার উপর উঠে সূর্যাস্ত দেখতে কার না মন চায়। তাই ক্লান্তিকর জীবনে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে আপনিও সপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন।
এসএস/সিএ