মনিরুজ্জামান প্রমউখ– এর তিন কবিতা– কাণ্ডার, ঘরে ফেরা হরিণ, কথা কয়ে উঠে
কাণ্ডার
—————————— —–
বিকেল-টা-কে কুয়াশা’র চাদর-
খাটো করে আনে ।
ঘরে ফেরা হয়, কাছে ।
সন্ধ্যা’র কামড়-টুকু হতে, রক্ষা-
মেহেদী’র উপস্থিতি শূন্য বোলে ।
দিনে’র ব্যবধানে- আলগা হয়ে পরা’র
রাস্তা নির্মাণ চলছে, চলবে ।
কারণ-
আকাশে’র নিঃস্প্রভ তারা-গুলো
ক্রমশঃ ক্ষুদ্র হয়ে, উঠছে ।
দাঁড়াতে গেলে’ই দাঁড়ানো হয়ে, যায়-
মাকড়সা’র জাল-মিল ।
শীতে’র মৌসুম বোলে-
সব ভাঁপার’ই চাহিদা অধিক ।
বিচ্ছিন্ন হবার পথ খোলা পেয়ে,
কে হাত-ছাড়া করে ?
যেখানে ভাঁপ ছড়াবার কাণ্ডার- আপন ঘাড় !
———————
ঘরে ফেরা হরিণ
—————————— ——
সময়ে’র যান সময়ে ছাড়ে-না,
রাতে’র গভীরে ।
হিসেব-টা কুলকুচা প্রতি-সময়ে’র ।
অথচ-
সন্ধ্যা’র মাঝ-ভাঙ্গায় কখনো কখনো
ভোরে’র প্রতি-শব হয়ে পড়ে ।
এক-টু পায়ে’র চারী হয়ে,
সেরে নিতে গেলে’ই তাগাদা আসে,
ছেড়ে যাবে- যাওয়া’র গাড়ি ।
হারালে’ই কেটে নেবে- সময় পনেরো মিনিট,
বাড়িয়ে তুলবে- পাকস্থলী’র ক্ষুধা,
জুড়ে যাবে-
কষ্টে’র, হয়রানি’র চারণ-ক্ষেত্র ।
রচিত হবে-
নাইবেরীয়ান বিরাণ-ভূমি’র আরেক বন্য-সংস্করণ ।
ঘরে ফেরা- হরিণে’র দেরী হতে নেই,
এতো কুলুকুলু’র গতি-সহস্র সমাজে ।।
———————-
কথা কয়ে উঠে
—————————— ———
বীতিময় যাপনে জ্ঞান-বসন্তে’র
ঢালপালা ছড়ানো যায় ।
কিন্তু-
কাজে’র কবিরাজ বাসা বাধে-না ।
মাঝখানে পড়ে বিচ্ছু হয়ে উঠে,
জলহস্তি ।
মাংসল হলেও তুলনায়- ভয়ঙ্কর নয় ।
মাটি’র উপর দিয়ে- হেঁটে যায়,
কিশোর পাললিক ।
খোঁজ রাখে-না,
মাটি’র বালিকা-টুকু কার ?
ধরা পড়ে, প্রবীণে’র রূপকে ।
জোয়ারে’র বন্যায়-
নিস্তেজ পড়ে থাকা- পথে’র শিশুও
কথা কয়ে উঠে ।
বয়সে’র দুইশো বারো দাতে’র বিষে ।।
————————