কে তুমি | পুলক বড়ুয়া
ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়;
প্রেম দিলে মন মনে মনে পছন্দ কয় ;
মুখে কুলুপ, বুকে তাঁবুবন্দি মেঘমালা,
অন্তর্বাস করে কথা;
সম্মান তো দূরের কথা, ধুলোকেও ধুলোয়
মিশিয়ে দিতে পারে না সম্মার্জনী
তাই কী সেই ঝাড়ুদারনিকে হোটেল কক্ষে বক্ষে
লজ্জা ভুলে শয্যায়
টেনে নিয়েছিলেন তুলে নিয়েছিলেন পাবলো নেরুদা
সম্মার্জনীর কথা ভুলে সম্মান ভুলে
( জানি না, কে কাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল ! )
সর্বাগ্রে, একমুহুর্তে, তার আগে
সঁপে দিয়েছিল ডেকে নিয়েছিল বরণ করেছিল
জীবনকে জীবন
এক ক্ষুদ্র জীবনকে একটি ক্ষুধিত জীবন ।
সাপ নাকি কাউকে না-পেলে বাঁশকে ছোবল দেয়;
সেই জ্বালায় জ্বলে ওঠে, বাঁশ কিংবা বাঁশির প্রতি মহাখাপ্পা : রঙিলা নাগিন : বংশীকে না-পেয়ে !
আহা, যখন কেউ রসুইঘরে লঙ্কার মিষ্টি ঝাল বোনে-চড়ায়-মেশায় আর সুরসিক জিহ্বা
হয়ে ওঠে তার যারপরনাই সমঝদার :
রসিক নাগর : সরেস প্রেমিক : তাই নয় কী !
কে তুমি, ছুঁড়ে দিলে আজ
কলসীর কানা … ভেজা ভেজা ওষ্ঠ …
কাঁদো কাঁদো কাদা-কাঁদা-মৃত্তিকা …
দিলদুনিয়া দুলে ওঠে
দীন দুনিয়ার বুকে ওঠে সুনামি : আঁখিঝরা খুন !