দেশের সংবাদ

কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন, ভোটারদের চোখে মেয়র প্রার্থী জুয়েল কেমন?


কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন, ভোটারদের চোখে মেয়র প্রার্থী জুয়েল কেমন?

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি || আগামী ১৬ জানুয়ারি কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনী মাঠ জুড়ে। চুড়ান্ত লড়াইয়ে নিজেদের স্থান দখলে সরব প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মাইকিং, গণসংযোগে মুখরিত পুরো শহর।

এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হয়েছেন মো: জুয়েল আহমেদ। তিনি এবার ২য় বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বিগত ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছিল। এ নির্বাচনে পৌর মেয়র পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন ৭ জন। প্রথমবারের মতো আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জুয়েল আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং কমলগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মেয়র পদটি দখলে নেয়। ১৯৯৯ সালে কমলগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ১৬বছর আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী মেয়র পদ দখল নিতে পারেন নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে মো: জুয়েল আহমেদ মেয়র পদটি দখলে নেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে কাজ করছেন।খবর নিয়ে জানা যায়, জুয়েল আহমেদ ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় জড়ান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে। এর পর আর পেছনে থাকান নি। রাজনীতির নেশা অনেকটাই ঝেপে বসেছিল তার। এক এক করে পদ পেয়েছেন কমলগঞ্জ পৌর ও উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে। ছাত্র রাজনীতি শেষে জড়িয়ে পরেন যুবলীগের রাজনীতিতে। কমলগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে। ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে। ঘুরে বেড়িয়েছেন কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে। মহামারী করোনার সময়ে কাজ করেছেন মানুষের জন্য। কমলগঞ্জ পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে স্ব-শরীরে অবস্থান করে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো, রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাবান ও পানীয়জলের ব্যবস্থা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেছেন খাদ্য সামগ্রী। মানবতাময় কাজকর্মের জন্য কমলগঞ্জ পৌরবাসীর কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ নামে বেশ পরিচিতিও লাভ করেছেন।

বিষয় হলো ভোটারদের চোখে মেয়র জুয়েল কেমন স্থান দখল করেছেন। ভোটারদের মন কতটা জয় করতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আলাপ হয় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন ভোটারের সাথে।

কমলগঞ্জ পৌর এলাকার করিমপুর গ্রামের ভোটার আলাল মিয়া, যোদ্ধাপুর গ্রামের ভোটার প্রবীন মালাকার, গোপালনগর গ্রামের ভোটার গীতেশ দেব, দক্ষিণ কুমড়াকাপন গ্রামের ভোটার আতিকুর রহমান, রামপাশা গ্রামের ভোটার সায়েখ আহমদ, শ্রীনাথপুর গ্রামের ভোটার মাহমুদ আলী চৌধুরীসহ কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান,  মেয়র প্রার্থী জুয়েল প্রতিনিয়ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। পৌর এলাকার মানুষদের আপদে বিপদে ছুটে গেছেন তাদের পাশে। করোনার সময়কালে অন্য কোনো নেতাকে পাশে না পেলেও পেয়েছেন জুয়েল কে। নগদ টাকা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেছেন খাদ্য সামগ্রী। জুয়েল আহমেদের কাছে ধনী ও গরীবের কোন বিভেদ নেই। নির্বাচনের এই সময়ে অনেকেই নানা কুৎসা রটাচ্ছেন জুয়েল আহমেদের বিপক্ষে। আমরা ভোটাররা সবই বুঝি। এতদিন এই অভিযোগকারীরা কোথায় ছিলেন। ভোটারদের মনে জুয়েল আহমেদ আছেন, থাকবেনও। আমাদের জানামতে জুয়েল আহমেদ কারো ক্ষতি করেন নি। যে কারো ক্ষতি করে নি, সৃষ্ঠিকর্তাও তার ক্ষতি করবেন না। আমরা ভোটাররা জুয়েল আহমেদের পাশে আছি।

আলাপকালে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ বলেন, আমি মানুষের সেবা করাকে ইবাদত হিসেবে মনে করি। ২০১৫ সালে পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমি চেষ্ঠা করেছি সবসময় তাদের পাশে থাকার। যদিও ৫বছর উন্নয়নের জন্য বেশি সময় নয়। তারপরও এই ৫বছরে আমার প্রতিশ্রুতির সিংহভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। কমলগঞ্জ পৌরসভার শ্রেণী পরিবর্তন, ব্রীজ, রাস্তা সংস্কার, মসজিদ ও মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়কবাতি স্থাপন, সড়কে সৌর প্যানেল বাতি স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আমি আশাবাদী আবারো নির্বাচিত হলে বাকী উন্নয়নমূলক কাজগুলো আমি সমাপ্ত করতে সক্ষম হবো। আমি পৌরবাসীসহ সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন