দেশের সংবাদ

শেখ হাসিনা সভানেত্রী কাদের সম্পাদক নির্বাচিত পুরনোদের দিয়েই নতুন কমিটি

নতুন মুখ শাজাহান খান মেহের আফরোজ চুমকী, পদোন্নতি পেয়ে নানক-রহমান প্রেসিডিয়ামে, হাছান মাহমুদ বাহাউদ্দিন নাছিম যুগ্ম মির্জা আজম এস এম কামালের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদোন্নতি, প্রচারে গোলাপ দফতরে বিপ্লব আইনে গেলেন নজিবুল্লাহ হিরু

টানা নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আর দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর তাদের নির্বাচিত করেন। আগামী তিন বছরের জন্য তারা দায়িত্ব পেলেন। কাউন্সিলররা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য দলীয় সভানেত্রীকে দায়িত্ব দেন।

কাউন্সিল অধিবেশনেই অধিকাংশ পদে পুরনোদের রেখে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে প্রেসিডিয়ামের সব সদস্যই বহাল আছেন। শুধু নতুন মুখ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী  শ্রমিক নেতা শাজাহান খান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে প্রেসিডিয়ামে স্থান পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান। একইভাবে ৮১ সদস্যের ঘোষিত ৪৩ জনের মধ্যে নতুন হিসেবে আরেকজন যুক্ত হয়েছেন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী। নতুন কমিটিতে পুরনো অনেকেই নিজ নিজ স্থান ধরে রেখেছেন। কেউ কেউ পদোন্নতি পেয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন দল ও অধিবেশনের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রেখে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন সভানেত্রীর অনুমতিক্রমে পঠিত বলে গণ্য হয়েছে হিসেবে উপস্থাপন করেন। বক্তব্য শেষে গঠনতন্ত্রের বেশ কিছু সংশোধনী গৃহীত হয়। রীতি অনুযায়ী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে মঞ্চ থেকে নেমে কাউন্সিলরদের আসনে বসেন। এরপর নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য মঞ্চে আসেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং অপর দুই সদস্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান খান। এরপর শুরু হয় আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রথমেই আগামী তিন বছরের জন্য সভানেত্রী পদে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের জন্য আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু দলের সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান একই কমিটির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন কাউন্সিলরদের সামনে আর কারও নাম আছে কিনা জানতে চান। জবাবে উপস্থিত কাউন্সিলররা ‘শেখ হাসিনা’, ‘শেখ হাসিনা’ বলে উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্য কোনো প্রার্থীর নাম না থাকায় নির্বাচন কমিশনার সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করেন। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার প্রস্তাবে সমর্থন জানান ওই কমিটির আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। একইভাবে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।

টানা নবমবারের মতো সভানেত্রীর দায়িত্ব পেয়ে আবেগে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি চাইছিলাম, অন্তত আমাকে একটু ছুটি দেবেন। দীর্ঘ ৩৮ বছর আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু আমার এখন ৭৩। তাই আগামীতে আপনাদের নতুন নেতা খুঁজতে হবে, নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে।’

এদিকে দলের বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকীয় পদধারী, সদস্য পদে ছিলেন ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করছেন এমন সাত নেতা গতকাল নতুন আংশিক কমিটিতে স্থান পাননি। তারা হলেনÑ বিদায়ী কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অর্থ সম্পাদক ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহ। অবশ্য এসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যেসব পদে ছিলেন, সেই পদের অনেকগুলোতে নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই পদগুলোর মধ্যে আইন সম্পাদক পদে সদস্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে নজিবুল্লাহ হিরুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মহিলা সম্পাদক পদে চমক হিসেবে এসেছেন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী। তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের পদ খালি রাখা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে যারা প্রেসিডিয়ামে : নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান, আবদুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। হানিফ ও দীপু মনি নিজেদের পদ ধরে রেখেছেন। প্রচার সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক : আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম। এর মধ্যে বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন। আর আগের কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন বাকি দুজন। তিনটি পদ খালি আছে।

সম্পাদকমন্ডলী : আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস নতুন কমিটিতেও নিজ নিজ পদ ধরে রেখেছেন।

বাকি সম্পাদক পদগুলোর মধ্যে আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন নজিবুল্লাহ হিরু, দফতর সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহের আফরোজ চুমকী। এর মধ্যে নজিবুল্লাহ হিরু বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। উপ-দফতর সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে বিপ্লব বড়ুয়া দফতর সম্পাদক হয়েছেন। ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ছিলেন দফতর সম্পাদক। কাউন্সিলে অর্থ সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ধর্ম সম্পাদক, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এবং শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি। উপ-প্রচার ও উপ-দফতর সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়নি।

কমিটির কয়েকটি সম্পাদক পদ ছাড়াও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়নি কাউন্সিলে। প্রেসিডিয়াম সদস্যরা বসে সদস্যদের নাম ঠিক করবেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির আংশিক নেতাদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সংসদীয় বোর্ড : শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম। ১১ সদস্যের মধ্যে বাকি নামগুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় দিকগুলো বিবেচনায় নিতে চান বলে জানান শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড : শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফরউল্লাহ, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আবদুর রহমান, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

উপদেষ্টা পরিষদ : উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ডা. এস এ মালেক, আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, প্রফেসর ডা. রুহুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর ড. হামিদা বানু, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এম এ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, মে. জে. আবদুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি (অব.), প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ মকবুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, জয়নাল হাজারী। ৫১ সদস্যের বাকি পদগুলো পরে আলোচনা করে পূরণ করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

গঠনতন্ত্রে যেসব সংশোধনী এসেছে : ২১তম কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকের পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটি যুক্ত হয়েছে গঠনতন্ত্রে। একই সঙ্গে সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মৎস্যজীবী লীগকে। আওয়ামী লীগ আইনজীবী ফোরামকে ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী ফোরাম’ করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৫১ করা হয়েছে। গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের কাউন্সিল অধিবেশনে গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনী সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গঠনতন্ত্রের এ সংশোধনী কাউন্সিলরদের সামনে উত্থাপন করেন।

আরও পড়ুনঃ কোনোভাবেই এটি রাজাকারের তালিকা নয় : প্রধানমন্ত্রী

সহ-সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করে গঠনতন্ত্রে বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটি অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে গঠনতন্ত্রের এই সংশোধনী উত্থাপন করা হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। কাউন্সিলে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগকে দলের সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদকে একীভূত করে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। এ ছাড়া কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের বাজেট পাস হয়। বিগত কমিটিতে ছিল ৫০ হাজার টাকা খরচ করলে দলের জাতীয় কমিটির অনুমোদন লাগবে। তা সংশোধন করে এবার ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন থেকে ১ লাখ টাকার উপরে খরচ করলে অনুমোদন নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − six =