চিকিৎসক বললেন মৃত, দাফনের আগে নড়ে উঠলো নবজাতক
হাসপাতালের কর্মচারিরা শিশুটিকে ফেলে রাখেন পরিত্যক্ত একটি হ্যান্ড গ্লাভসের বক্সে
আরিফুর রহমান রাব্বী ।। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, চিকিৎসক বললেন মৃত, দাফনের আগে নড়ে উঠলো নবজাতক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়ে দিলেন নবজাতক শিশুটি মৃত। এরপর তাকে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হলো কবরস্থানে। দাফনের মাত্র কয়েক মিনিট আগেই নড়াচড়া করে নিজের জীবিত থাকার কথা জানান দিলো শিশুটি।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঘটেছে এমন ঘটনা।
গর্ভধারণের সাত মাসের মাথায় শুক্রবার অপরিণত (প্রিম্যাচিউরড) শিশুটির জন্ম দেন শাহিনুর আক্তার নামে এক নারী। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এরপর হাসপাতালের কর্মচারিরা শিশুটিকে ফেলে রাখেন পরিত্যক্ত একটি হ্যান্ড গ্লাভসের বক্সে। দাফনের জন্য তার বাবা ইয়াসিন মোল্লাকে বলা হয় আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যেতে।
হাসপাতাল কর্মচারিদের কথামতো সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান ইয়াসিন। তবে অর্থসঙ্কট থাকায় শিশুটিকে নিয়ে যেতে বলা হয় অপেক্ষাকৃত কম খরচের রায়েরবাজার কবরস্থানে।
রায়েরবাজারে নিয়ে গেলে শিশুটির জন্য একটি কবর খোঁড়া হয়। সব প্রস্তুতি শেষ করে যখন কবরে রাখা হবে এমন সময় নড়ে ওঠে শিশুটিকে রাখা বক্সটি। জীবনের অস্তিত্ব জানান দেয় নবজাতক।
এরপরই ইয়াসিন বক্স খুলে সন্তানকে জীবিত দেখতে পান। দ্রুত তিনি আবার মেয়েকে নিয়ে যান ঢামেকে।
তবে ইয়াসিনের অভিযোগ, এ সময় হাসপাতালের ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা সিট খালি না থাকার কথা বলে শিশুটিকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
তবে সদ্যজাত শিশুটির বাবার জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত ঢামেকেই তাকে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘নবজাতকটি জীবিত আছে, ভালো আছে। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা একটা তদন্ত কমিটি করবো। তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করবো কেন এমনটি হয়েছে।’’
ইয়াসিন মোল্লার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। পরিবার নিয়ে তিনি রাজধানীর উত্তরা এলাকায় থাকেন। এই দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান। ৯ বছর বয়সী তাদের আরেকটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
-bangladhakatribune
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন