ইকবাল হাসান-এর দু’টি কবিতা
যে আছে একা
মানুষ মূলত একা। শরৎ হেমন্ত এসে সময়ের ভাটায় ভেসে যায়।
শ্রাবণধারায় ভেসে যাওয়া যেন বিনয়ের বিশুদ্ধ গণিত। মিনারের
পাদদেশে বিনম্র অক্ষরগুলো নিস্পলক চেয়ে থাকে আকাশের দিকে
এ পৃথিবী মানুষকে নিরন্তর নিঃসঙ্গ করেছে। রণাঙ্গন থেকে ফিরে
যখন দেখেছ তুমি চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, প্রেতের হুংকার, চারদিকে
ধূম্রজাল, চারদিকে অনন্তের ঘোর, চারদিকে বিভ্রমের কালোরাত
কোন্ পথে যাবে তুমি, কোন পথ দ্যাখাবে গন্তব্য তোমার?
তোমাকে নিঃসঙ্গ রেখে চলে যাওয়া নদীটি আর কখনো ফেরেনি।
জলেশ্বরীতে, সুবর্ণ রেখার পাশে গোধূলিতে, যারা ছিল কাছের মানুষ
তোমাকে নিঃসঙ্গ রেখে তারা চলে গেছে দূরে!
একা কি নিঃসঙ্গতার সহোদর তবে? যমজ ভাই-বোন? মিসরের মমি?
বুদ্ধকালের কোনও পুঁথির অক্ষর? জাদুবাস্তবতার মায়াজাল? বাস্তবে ফিরে
আসা মৃত মানুষের হাড়গোড়, রক্তমাংস, ছায়ার শরীর?
আত্মাহুতির সহজ-সূত্র
তোমার আছে দুখানা হাত
নরম ও তুলতুলে
আমার হাতে কেন ও হাত
রাখতে যাবে ভুলে?
আমার আছে উদাস দুপুর
ভর দুপুরের ছায়া
তোমার পায়ে সোনার নূপুর
শ্যাম-পিরিতের মায়া।
যারা দ্যাখার তারাই দেখুক
থাকব আমি দূরে
জল যমুনার চোরা ঘূর্ণি
আসবে ঘুরে ঘুরে।
আত্মাহুতির সহজ সুযোগ
ডাকবে নীলাতলে
হারিয়ে যাব ঘোর দুপুরে
ভরা নদীর জলে।
১০ জানুয়ারি, ২০২১
টরন্টো, কানাডা
লেখক পরিচিতি : ইকবাল হাসান সত্তর দশকের উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় কবিদের অন্যতম। গল্পও লেখেন।
-সারাক্ষণ
এসএস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন