টরন্টোয় টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ।। কানাডাকে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের টাকা পাচারকারী লুটেরাদের নিরাপদ গন্তব্য হতে দেওয়া হবে না—এ মর্মে অঙ্গীকার করেছেন দেশটির টরন্টোয় বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পাড়ি জমানো লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে টরন্টোর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রুখো লুটেরা, বাঁচাও স্বদেশ’ শীর্ষক গান-কবিতায় প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অঙ্গীকার করেন।
গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টরন্টোর হোপ ইউনাইটেড চার্চ মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার পত্রপত্রিকায় দুর্নীতি এবং ব্যাংকিং খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কতিপয় লুটেরার কানাডায় বসতি স্থাপনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। এর আগে তাঁরা মানববন্ধন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল এই প্রতিবাদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংস্কৃতিক সংগঠক আহমেদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- ডাকসুর সাবেক এজিএস নাসির উদ দুজা, সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, বাকসুর সাবেক ভিপি, ফায়েজুল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা ড. মঞ্জুর ই খুদা টরিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা মনিস রফিক, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী বোখারী, লেখক আখতার হোসেন, কবি দেলোয়ার এলাহী ও সাংবাদিক বাবলু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রতিবাদী গান এবং কবিতায় অংশ নেন সুমন সাইয়েদ, মেরী রাশেদীন,সুমন মালিক, মুক্তি প্রসাদ, নবীউল হক বাবলু, হিমাদ্রী রয়, মুনিয়া, কামরান, আশিক ওয়াহেদ ও ফারজানা বিন্দু প্রমুখ।
বক্তারা লুটেরা ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, জন্মভূমি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি এবং আবাসভূমি হিসেবে কানাডার প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই লুটেরাদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। লুটেরাদের প্রতি পরিষ্কার বার্তা, কানাডাকে বাংলাদেশের টাকা পাচারকারী ও লুটেরাদের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, জন্মভূমি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি এবং আবাসভূমি হিসেবে কানাডার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই লুটেরাদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন, টাকা পাাচারকারীদের প্রতি আমাদের পরিষ্কার বার্তা- কানাডাকে বাংলাদেশের টাকা পাচারকারী, লুটেরাদের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া হবে না। লুটেরা এবং টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের এই সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকার পত্রপত্রিকায় দুর্নীতি এবং ব্যাংকিং খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কতিপয় লুটেরার কানাডায় বসতি স্থাপনের খবর প্রকাশিত হ্ওয়ার পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা সামাজিক আন্দোলন শুরু করে। এর আগে তারা মানববন্ধন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার এই প্রতিবাদী আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।