সাগর-রুনি হত্যা
বিচার দেখে মরতে চান সাগরের মা
বিচার দেখে মরতে চান সাগরের মা ।। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পার হচ্ছে। এখনো এর বিচার না পেয়ে হতাশ তাঁদের পরিবার ও সহকর্মীরা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা। অসুস্থ থাকায় সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ ও সাগরের মা সালেহা মনির আসতে পারেননি বলে জানানো হয়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য দেন তিনি। সেটি লাউড স্পিকারে দিয়ে মাইকে শোনানো হয়।
সাগরের মা বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার পাব না এটা কোনো দিন কল্পনাও করিনি। আমি মৃত্যুর আগে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি তাদের হত্যার বিচার করার জন্য।’ গতকাল দুপুরে ডিআরইউর আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে ডিআরইউর সাবেক ও বর্তমান নেতারা বক্তব্য দেন। তাঁরা এত দিনেও সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এ সময় বাসায় ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার’ মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। দুদিন পরে তত্কালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছিলেন, তদন্তে ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ দুই মাস তদন্তের পর ‘ব্যর্থতা’ জানালে আদালত র্যাবকে তদন্তভার দেন। তাঁরা সাত বছর ১০ মাস ধরে তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে ৭১ বার সময় প্রার্থনা করেন র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুনঃ