দেশের সংবাদ

নাম পরিবর্তন হচ্ছে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের

সিটি করপোরেশন

আসন্ন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগেই পরিবর্তন আসছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনার আইনে। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নামও পরিবর্তন করে বাংলায় রূপান্তর করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার আইনে সিটি করপোরেশনকে ‘মহানগর’; পৌরসভাকে ‘নগর ও নগর সভা’ এবং ইউনিয়ন পরিষদকে ‘পল্লী পরিষদ’ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরি করেছে। আজকের নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সব তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিষয়ে কমিশন কিছু জানে না। কমিশন বলছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয় ইসির নয়। এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। যদিও একজন নির্বাচন কমিশনার বলছেন, প্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা দরকার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় রূপান্তর করার প্রস্তাব রেখে আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনের খসড়ায় দেখা গেছে, সিটি করপোরেশন কে করা হচ্ছে-মহানগর, মেয়রকে মহানগর আধিকারিক; পৌরসভাকে নগর ও নগর সভা, মেয়রকে পুরাধ্যক্ষ বা নগরপিতা; কাউন্সিলরকে পরিষদ সদস্য; ওয়ার্ডকে মহল্লা; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের প্রধান, উপ-প্রধান নামে বাংলায় রূপান্তর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ করা হয়েছে বাংলায়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একটা খসড়া তৈরি করেছে সচিবালয়। আজ তা নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে উপস্থাপন করবে। এরপরে আমরা পজিটিভ, নেগেটিভ বিষয়ে আলোচনা করব।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় রূপান্তর করার পাশাপাশি ছোট ছোট কিছু সংশোধনীও রয়েছে। তবে জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সব তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, সেই বিষয়টি ইসির নয়। এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ। নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধুমাত্র নির্বাচনী বিষয় দেখার। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনী আইন সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে নতুন আইন প্রণয়নসহ আরও বেশ কিছু কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে নতুন আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। সেই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামতও সংগ্রহ করেছে কমিশন। তা কমিশনের আনুষ্ঠানিক সভায় আলোচনা হবে। তারা বলেন, বিভিন্ন আইন সংস্কারের বিষয়ে ইসি পরামর্শক নিয়োগের চিন্তা করছে। আপাতত ইসি সচিবালয় এই সব কাজ করলেও পরামর্শক নিয়োগ হলে তারা আইন সংশোধনীর বিস্তারিত কাজ করবেন।

জানা গেছে, ১৮৮৫ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের নাম ছিল ইউনিয়ন কমিটি। এরপরে ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে নতুন কমিটির নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন বোর্ড। এরপরে ইউনিয়ন বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন কাউন্সিল করা হয়। ১৯৭১ সালে ইউনিয়ন কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ত্রাণ কমিটি। ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ত্রাণ কমিটি ভেঙে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত নামকরণ করা হয়। পরে ১৯৭৩ সালের দিকে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত-এর নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ইউনিয়ন পরিষদ।

সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন