তোমাকে না পেলে এ জীবন বৃথা হতো ||| রেজাউল করিম রোমেল
আমি রফিকুজ্জামান জুয়েল। আমার বয়স একান্ন। যখন আমি বিয়ে করেছিলাম আমার তখন বয়স ছিল চব্বিশ বছর।
বাবা-মার অমতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিয়ে করেছিলাম। তখন সবেমাত্র বি কম পাস করে এম কম ভর্তি হয়েছি। ঐ সময় মিতার বাড়ি থেকে মিতার বিয়ে ঠিক করে। আমাদের বিয়ের খবর মিতার এবং আমার বন্ধু বান্ধবিরা জানতো। বিয়ের দিন মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে এনে বিয়ে করেছিলাম। বিয়েতো করলাম, তারপর!আমার বাবা আমাদের মেনে নিল না। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
অনেক কষ্ট করে মিতাকে তার এক দুর সম্পর্কের খালার বাসায় কদিনের জন্য রেখে আসলাম। পকেটে একটা টাকাও নেই। যা টাকা ছিল সব খরচ হয়ে গেছে। পরিচিত যেসব বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন ছিল,তাদের কারো কাছ থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পেলাম না।অথচ একটা সময় আমি তাদের জন্য কিনা করেছি। কথায় আছে বিপদে বন্ধু চেনা যায়।তাই নিজের দামি জুতা আর হাতের ঘড়িটা পুরান বাজারে খুব অল্প দামে বিক্রী করে দিলাম। অনেক খোজাখুজি করে একটা টিভি শো-রুমে সেলস্ ম্যানের চাকরি পেলাম।আমি বি কম পাস এটা শো রুমের মালিক জানতেন। তাই কিছু দিনের মধ্যে শো রুমের মালিক জাকির ভাই আমাকে তার শো রুমের এ্যাকাউন্সে কাজ করার দায়িত্ব দিলেন।তিনি আমার কাজে খুশি হয়ে তার কিছু দিন পর আমাকে শো রুমের ম্যানেজারের দায়িত্ব দিলেন। দীর্ঘ দিন আমি সেই শো রুমের ম্যানেজারের দায়িত্ব সততার সাথে পালন করেছি।
পথ পরিক্রমায় এখন আমার ঢাকায় তিনটা শো রুম। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়েটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।আর ছেলে বুয়েটে ভর্তি হয়েছে। মিতা আমার জীবনে এসে আমার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। মিতাকে বিয়ে করে আমি জীবনকে বুঝতে শিখেছি। বাস্তবতাকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। লোকে বলে প্রেম করে বিয়ে করলে নাকি কখনো সুখি হওয়া যায় না। কিন্তু আমি প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম পরিবারের কাউকে না জানিয়ে। আমি ভাল আছি। খুব ভাল আছি। আর তাই আমি বলতেই পারি,-তোমাকে না পেলে এ জীবন বৃথা হত।
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান