সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায পদাবনতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথিও তলব করেছেন আদালত। আগামী ২১ দিনের মধ্যে এসব নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন। আদালতে আজ সামিয়ার রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় গবেষণা জালিয়াতির দায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানের পদাবনতি করে ‘সহকারী অধ্যাপক’ করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের ‘A new dimension of Colonialism and Pop Culture : A Case Study of the Cultural Imperialism’ নামক আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ সোশ্যাল সাইন্স রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হয়, যা ১৯৮২ সালে শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত মিশেল ফুকোর ‘Subject and Power’ প্রবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল করা।
২০১৭ সালে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ চুরির অভিযোগের কথা জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস। ওই অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পরে কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে তার পদাবনতির সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই সামিয়া রহমান দাবি করে আসছেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। -আমাদেরসময়
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান