বিশ্ব

করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব -দিশেহারা রাস্ট্র প্রধানরা!

করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব

চীনে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যুর দাবি! সত্য কি? করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব – দিশেহারা রাস্ট্র প্রধানরা

 

করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব – দিশেহারা রাস্ট্র প্রধানরা !  প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের দেশ চীনের সরকার করোনাভাইরাসের প্রকৃত চিত্র আড়াল করেছে এবং এই ভাইরাসে দেশটির এক কোটিরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এমন দাবি করেছে বলে খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা।

চীন সরকারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশটিতে এই ভাইরাসে মারা গেছেন অন্তত ৩ হাজার ২৭৭ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ১৭১ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ৭৩ হাজার ১৫৯ জন।

ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি অন্যান্য দেশের কাছে করোনাভাইরাসের প্রকৃত চিত্র আড়াল করছে চীন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি।

এই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চীনের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী কোম্পানিগুলার কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল বলে জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যমটি। বলছে, চীনা মোবাইল কোম্পানিগুলোর সরবরাহকৃত তথ্যে দেখা যায়, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি কমে যায়।

ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাদের মধ্যে ৮০ লাখের বেশি গ্রাহক প্রতিদিন মোবাইল নেটওয়ার্কে সচল থাকতেন। তারা কোথায় গেলেন?

সংবাদমাধ্যমটি তাদের অনুসন্ধান এখানেই শেষ করেনি। ওই দেড় কোটি গ্রাহক আগে মোবাইলের নেটওয়ার্কে সচল ছিলেন; বর্তমানে তারা মোবাইল নেটওয়ার্কে নেই। এমনকি তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বরগুলোও কেউ ব্যবহার করছেন না।

 

করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব!

ওই সংবাদমাধ্যমটি আরও যে দাবি করেছে সেটি বেশ রোমহর্ষক।  দেড় কোটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর যদি ডিঅ্যাক্টিভেটও করা হয় তাহলেও তো করোনায় মৃতের সংখ্যা কয়েক লাখ হওয়া উচিত। যদি একজন মানুষ একটি মোবাইলও ব্যবহার করেন তাহলেও তাদের দুটি সিম কার্ড থাকার কথা। সেই অনুযায়ী একটি সিম বন্ধ করে দিলেও ৭৫ লাখ মানুষ কমে যায়। এছাড়া যদি ধরে নেয়া হয় যে একজন মানুষ চারটি সিম ব্যবহার করেন তাহলেও মৃত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫০ হাজার।

সংবাদমাধ্যমটি আরও একটি বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছে। বলছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর চীনে লাখ লাখ মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা বেঁচে আছেন; তারা উহান শহরে দিনের আলোও দেখতে পান না।

ট্যাবলয়েটটির প্রতিবেদন সত্য-নাকি মিথ্যা? প্রতিবেদনের শুরুতেই ট্যাবলয়েটটি বলছে, চীনে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা নেই এবং দেশটির সরকার গণমাধ্যম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। ট্যাবলয়েটটির এমন যুক্তির কারণে অনেকেই বিশ্বাস করছেন যে প্রতিবেদনটি সত্য হতে পারে।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে কোনও দেশের সরকার লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা কখনই গোপন করে রাখতে পারে না। ফেসবুক, টুইটার ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তথ্য অনায়াসেই ছড়িয়ে পড়তো। যে কারণে করোনাভাইরাসে চীনে কোটি মানুষের প্রাণহানির খবরটি সত্য নয় সেটি বলা যায়।

 

মানব দেহের বাইরে ১৭ দিন বাঁচতে পারে করোনা ভাইরাস!

করোনা ভাইরাস মানবদেহের বাইরে ১৭দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। করোনা আক্রান্ত জাহাজ ডায়মণ্ড প্রিন্সেস-এ চালানো এক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে।

জাহাজটির একটি কেবিন থেকে করোনা রোগীকে সরিয়ে নেয়ার দুই সপ্তাহ পরও  সেখানে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ত্ব পাওয়া গেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ হাজার ৭০০ যত্রী সহ করোনায় আক্রান্ত হয় জাহাজটি।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা ওই গবেষণাটি চালান। এই গবেষণায় প্রমাণিত হলো আগের ধারনার চেয়েও অনেক বেশি সময় ধরে মানবদেহের বাইরে বেঁচে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস।

তবে ১৭ দিন পরেও তা মানুষকে অসুস্থ করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নব গবেষকরা। ২৩ মার্চ এই তথ্য প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়ে ওই জাহাজে।

এর আগে আমরা জানতাম করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে পলিপ্রোপিলিনের উপর। পাঁচদিন পর্যন্ত এর উপর বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। পলিপ্রোপিলিন এক ধরনের প্লাস্টিক। এই ধরনের প্লাস্টিক দিয়েই শিশুর খেলনা থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের টিফিন বক্স তৈরি করা হয়।

সুত্রঃ ডেইলি মেইল

 

করোনায় সৌদি আরবে প্রথম মৃত্যু মদিনায়

করোনায় প্রথমবারের মতো মৃত্যু ঘটলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। ইসলামের তীর্থভূমিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ প্রথম এক ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২০৫ জন।

মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সৌদি আরবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন আক্রান্ত নিয়ে দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৭৬৭ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, করোনায় মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৮ বছর। তিনি আফগানিস্তানের নাগরিক। সোমবার রাতে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটলে মদিনার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সোমবার সন্ধ্যায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এই কারফিউয়ের আদেশ দেন।

সৌদি প্রেস এজেন্সি বলছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় কারফিউ (সান্ধ্য আইন) শুরু হবে। চলবে সকাল ৬টা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৪ এবং মারা গেছেন ১৭ হাজার ১৫৪ জন।

মধ্যপ্রােচ্যের সব দেশেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্তত তিন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 

করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব!

একদিনে ইতালিতে ৭৪৩ ও স্পেনে ৪৮৯ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে একদিনের ব্যবধানে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে; এরপরেই আছে স্পেনে ৪৮৯ জন।

প্রতিদিনই লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনায় সবমিলিয়ে ১৮ হাজার ২৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৮৯২ জন।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। এদিন আগেরদিনের চেয়ে ১৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা এখন ৬ হাজার ৮২০ জন। স্পেনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮০০ জন।

গত শনিবার ইতালিতে রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ৭৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে করোনা সংকট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিন জনগণকে সচেতন ও মনোবল বৃদ্ধি করতে ভাষণ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি গোটা ইতালিতে প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে; এরপর তা বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

লন্ডনে করোনায় প্রাণ হারালেন আরেক বাংলাদেশি

লন্ডনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো এক বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন। এ মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেল পাঁচ বাংলাদেশির। এমন পরিস্থিতিতে লন্ডনে অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে খসরু মিয়া নামে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।

স্থানীয় ও মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, করোনার ছোবলে মারা যাওয়া খসরু মিয়ার বাংলাদেশের বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া আটঘর গ্রামে।

উল্লেখ্য, সোমবারই করোনায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে হাজি জমসেদ আলী (৮০) নামের একজন বাংলাদেশি মৃত্যু হয়।

তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছনগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে এর আগে ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি মারা যান। তিনি ইতালি থেকে এসে স্থায়ীভাবে ব্রিটেনে বসবাস করছিলেন।

এরপর করোনার সঙ্গে আট দিন যুদ্ধ করে গত শুক্রবার ভোরে রয়েল লন্ডন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৬৬ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশি। তিনি লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা ছিলেন।

এরপর বাংলাদেশি হিসাবে যুক্তরাজ্যে সফররত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (৭০)।

 

প্রতি ৩ দিনে আক্রান্ত বাড়ছে এক লাখ করে

বিশ্বজুড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ এখন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতি মুহূর্তে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।

যক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসি আক্রান্তদের ওই সংখ্যা জানিয়েছে।

দেশ হিসেবে করোনায় মৃত ও অক্রান্তে শীর্ষ দেশ এখন ইতালি; এরপরের অবস্থানে স্পেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ৭৪৩ আর স্পেনে মারা গেছেন ৪৮৯ জন।

গড ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম অস্তিত্ব ধরা পড়ার পর ৬ মার্চ এক লাখে পৌঁছায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এরপর সেই সংখ্যা ১৮ মার্চে হয় দুই লাখ, আক্রান্ত তিন লাখে যায় ২১ মার্চ আর ২৪ মার্চ সেই সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেল। অর্থ্যাৎ সর্বশেষ হিসেবে প্রতি তিনদিনে আক্রান্ত বাড়ছে এক লাখ করে।

এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনায় সবমিলিয়ে ১৮ হাজার ২৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৮৯২ জন।

 

পুরো ভারত লকডাউন

মহামারি নোভেল করোনাভাইরাসে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আরও সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঠেকাতে সারা দেশ আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে। ওই সময়ে দেশের কোনো নাগরিককে বাড়ির বাইরে পা না রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লকডাউন, এটা ভারতবাসীকে রক্ষা করার জন্য।’

করোনার থেকে বাঁচার আর কোনো উপায় নেই- জানিয়ে মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ নাগরিক তখনই বাঁচতে পারবেন, যখন আমরা ঘরের ভেতরে থাকব। ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে হবে। ভাঙতে হবে সংক্রমণের শৃঙ্খল। ভারত এমন ধাপে রয়েছে, যেখানে আমাদের পদক্ষেপ ঠিক করে দেবে, কতটা ক্ষতি এড়াতে পারি আমরা। প্রতিটি পদে ধৈর্য ধরতে হবে। লকডাউনে ঘর থেকে না বেরানোর সংকল্প নিন। প্রাণ থাকলে দুনিয়া থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইটালিসহ এই দেশগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবা অত্যন্ত উন্নত। তা সত্ত্বেও করোনার মোকাবিলা করতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে উপায় কি? একটাই উপায়, যারা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছেন তাদের থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই সব দেশে সরকারের কথা শুনে বাড়ির বাইরে বেরোননি সাধারণ মানুষ। আমাদেরও তা মেনে চলতে হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতে দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৯ জনে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ জন। এদিন মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন আরও একজন। এই নিয়ে ভারতে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেছে ১০ জনের।

 

করোনায় লন্ডভন্ড বিশ্ব!

কি হতে যাচ্ছে কানাডায়?

কি হতে যাচ্ছে কানাডায়? কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ২৫৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। শুধু ক্যুইবেক প্রভিন্সেই ১০১৩ জন। কানাডার মানুষ ভয়- শঙ্কা আর আতঙ্কে জীবনযাপন করছেন। মূলত প্রতিটি প্রভিন্সের নাগরিকরাই ঘরে বন্দি জীবনযাপন করছেন বিপর্যস্ত সবকিছু।  দু’জনের বেশি একত্রিত হওয়া নিষেধ। ক্রমান্বয়ে এবং দ্রুতগতিতে সংক্রমিত হওয়াতে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডো চিন্তিত। প্রতিদিন জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন । কানাডার স্বাস্থ্য দপ্তর বিরতীহীন সংগ্রাম করে চলছে। সারা কানাডায় সব ব্যবসা বানিজ্য প্রায় বন্ধ।

সি/এসএস



 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =