শিক্ষাঙ্গন

আমরা কীভাবে দেখি? ।।। প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাপ্তি 

আমরা-কীভাবে-দেখি
আমরা কীভাবে দেখি? ।।। প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাপ্তি 
 
বাল্যকাল থেকে শুনে আসছি, ” আমরা আলোর সাহায্যে দেখি।” কিন্তু, একটি প্রশ্নকে কোনোদিন মগজের আড়াল করতে পারিনি । “আলো কোথা থেকে এসেছে? কোথায় তার উৎপত্তিস্থল?” আলোর উৎস হচ্ছে সূর্য। সূর্য হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম নক্ষত্র।   যা আমাদের ধরণীকোল থেকে ১৫ কোটি কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত এবং আশ্চর্যজনকভাবে ঐ দূরান্তের স্থান থেকে মাত্র ৮ মিনিটে পৃথিবীতে আলো এসে উপনীত হয়। আর হবে না-ই বা কেন? পৃথিবী  থেকে সূর্য  প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় এবং সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫৮০০ ডিগ্রি k ( kelvin). সূর্য তীর্যকভাবে আলো দেয়।  আর সেই আলো কোনো বস্তুর উপর পড়ে এবং বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয়ে সে আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে। চোখের রেটিনা থেকে সেই আলো দিয়ে তৈরী সংকেত মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছায় এবং আমাদের মস্তিষ্ক শনাক্ত করতে পারে যে বস্তুটি প্রকৃতপক্ষে কী।আর ধারণা করা হয় যে, আলোর রং সাদা। তবে আমরা পৃথিবীর সমস্ত বস্তুকে রঙিন দেখি কীভাবে? 
আসলে বিষয়টি যত বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বিষয়টি তত বেশি জটিল আকার ধারণ করছে।
প্রকৃতপক্ষে সূর্যের আলো ( সাদা আলো) একটি বস্তুতে পতিত হবার পরক্ষণেই বস্তু থেকে বস্তুর নিজস্ব রং মিশ্রিত আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ে। তাই আমরা বস্তুটিকে রঙিন দেখি। আবার,  সাধারণ আলোতে সবগুলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিদ্যমান। আর রং তরঙ্গ  দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে। তাই বলা যায়, সাধারণ আলোতে সব রং বিদ্যমান। আলোতে সবগুলো রং বিদ্যমান থাকলে আলোর রং হয় সাদা। আবার, এ আধুনিক যুগে সব ধরণের রঙের আলোই সহজলভ্য। 
এ কথা কোন প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে তা বোঝানোর জন্য একটি উদাহরণ প্রয়োজন। যেমন :- একটি গাছের পাতা। সবুজ রঙের আলোতে একটি পাতা সবুজ দেখাবে এবং একই সাথে সবুজ রং পাতার আশেপাশের সবুজ নয় এমন বস্তুর আলোকে শোষণ করে। ফলে সেই বস্তুসমূহকে কালো দেখায়।
উপরিউক্ত কথাগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আলোর বিভিন্ন মাধ্যম( যেমন:- বৈদ্যুতিক বাতি,সূর্যালোক, হারিকেন, প্রদীপ ইত্যাদি ) থেকে আলো বস্তুতে এসে পতিত হয় এবং সেই পতিত আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ে ফলে আমরা দেখতে পাই। 
 
২৬/০৬/২০২২ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদটি শেয়ার করুন