মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন মিশরের একটি আদালত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে রাজধানী কায়রোতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমান মিশরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। মঙ্গলবারের রায়ে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে দণ্ড দিয়েছেন আদালত। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই গণবিচারকে ‘চরম অন্যায্য’ বলে বর্ণনা করে সাজা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।
মিশরের সেনাবাহিনী ২০১৩ সালে দেশটির নির্বাচিত ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করে। এটি আধুনিক মিশরের ইতিহাসে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে অন্যতম সবচেয়ে বড় দমনপীড়নের ঘটনা। চলতি বছর জানুয়ারিতে মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ গ্রান্ড মুফতির কাছে মুসলিম ব্রাদারহুডের চিহ্নিত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন আদালত।
আদালতের ওই রায় এখন অনুমোদনের জন্য মিসরের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ গ্রান্ড মুফতির কাছে যাবে। এর পর আদালত তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জন ‘হেলাওয়ান ব্রিগেড’ নামে একটি গ্রুপ গড়ে তোলেন। সরকার উৎখাতে বৃহত্তর কায়রো এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিসরে মৃত্যুদণ্ড ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয়। মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসেবে গত বছর চীন ও ইরানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে মিসরে।
এফআই/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান