ফিচার্ড বিশ্ব

কাতার থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ : চার ইইউ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার : ব্যাপক চাঞ্চল্য

কাতার-থেকে-ঘুষ-নেয়ার-অভিযোগ

চার ইইউ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে কাতার থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ!

দুর্নীতির অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকে ঘুষ নিয়েছেন। বিনিময়ে জোটটির মধ্যে কাতারের প্রভাব বিস্তারে কাজ করবেন তারা। এরপরই ব্রাসেলসে চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবরটি নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, এই দুর্নীতির ঘটনাকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লাইন। এটি প্রকাশ্যে আসার পর গোটা ইউরোপজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বেলজিয়ামের পুলিশ যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে আছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইভা কাইলি। বাকিদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ-পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশী অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থও উদ্ধার করা হয়।

যদিও কাতার কোন অন্যায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে অভিযোগের গুরুত্ব ও মাত্রা দেখে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অনেক সদস্য হতবাক হয়ে গেছেন। অনেকে বলছেন, এটি হয়তো ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির কেলেংকারির অন্যতম হতে যাচ্ছে।

কৌঁসুলিরা বলছেন, তারা সন্দেহ করছিলেন যে একটি উপসাগরীয় দেশ বেশ কয়েক মাস ধরে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটির নাম কাতার বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কাতারের সরকার বলছে, অসদাচরণের এসব দাবি ‘গুরুতর অজ্ঞতাপ্রসূত’। ইউরোপীয় সংসদ সদস্যদের কোনরকম ব্রিফিং করার কথাও কাতার অস্বীকার করেছে।

গ্রীক রাজনীতিক ইভা কাইলির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তাকে তার বাড়িতে বস্তাভর্তি অর্থসহ ধরা হয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক বিতর্কে কাতারকে সমর্থন করার জন্য তিনি ঐ অর্থ পেয়েছেন। তবে কাতারের সরকার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের ঘুষ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাইলির দায়িত্বের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তিনি অতীতে কাতারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

সূত্রঃ মানবজমিন


সংবাদটি শেয়ার করুন