‘তু্ই’ রয়ে যায় ||||| শীতল চট্টোপাধ্যায়
হারানো সেই মেলার ভিড়ে
পালানো সেই একটি ছুটে,
মনের ভেতর সেইগুলো সব
কষ্ট হয়ে জমে ওঠে।
দেখতে লাগে খেলার মতো
সেই খেলাতেই সত্যি থাকে,
না হলে মন-মনকেমনে
আজও কেন সেদিন ডাকে!
এলোমেলো মন হয়ে যায়
কোথায় যেতে কোথায় যাওয়া,
তু্ই ডাকা সেই তোকে আজও
আগের মতোই খুঁজতে চাওয়া।
ভীষণ ভালো বন্ধু হয়ে
তু্ই ও আমি আড়াল সবার,
পলাশ খুঁটে লতায় বেঁধে
পরাতাম সেই তোকেই যে হার।
সেই যে দুজন চুপি কথায়
যে কথাটি বলেছিলাম,
ঠিক তখনই পাল্কী গেল,
বর-বউ দিলো সেই কথা দাম।
তারপরে সেই যেদিন ফিরে
দুজন দেখা হলোনা আর,
দুই দিকেতে একলা দুজন
‘তু্ই’ রয়ে যায় দুজন একার।
মধুপুর
এই সেই মধুপুর।
এখানের মাটি ভিজত
ভালোবাসাবাসি সংলাপে।
বসন্ত আসত
প্রেম ফেরির ফেরিওয়ালায়,
মন রাঙানো জাদুকরে।
এখানেই সেই নতুন হাতের ছোঁয়া লেগে
জ্বলে উঠত প্রেমসলতে,
মধুপুরী পলাশের ইশারায় চেনা হতো
প্রেমের বর্ণপরিচয়,
রাত আসত স্বপ্নকুঁড়ি ধরিয়ে দেওয়ায়,
দিন আসত স্বপ্নফুল ফুটিয়ে দেওয়ায়।
তারপর, এমন চলমান সময়ই-
এক সময় থেকে মুধুপুরে আসা শুরু করল
দূষণের তিরবিদ্ধ হয়ে।
প্রেম ফেরিওয়ালাকে আর খুঁজে পেলনা
মধুপুরের অবশিষ্ট কৈশোর-তারুণ্যবেলা,
খুঁজতে-খুঁজতে নিখোঁজ হয়ে যায়
প্রতিদিন মন।
জগদ্দল, উত্তর২৪পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ