আগেকার গ্রাম || বিশ্বজিৎ মানিক
আগেকার গ্রাম ছিল – শান্তির নীড়
গাছের তলায় ছিল – ছেলেদের ভীড়।
গাছে গাছে ছিল ফল – কাঁচা আর পাকা
পাকা ফল পাড়া হতো – ভরে ভরে ঝাকা।
যাদের বাড়িতে ছিল – ফলের বাগান
প্রতিবেশীর মাঝে হতো – আদান ও প্রদান।
এখন গ্রামে, কারো যদি – ধরে কিছু ফল
নিয়ে যায় বাজারেতে – বিক্রেতা সকল।
কৃষকেরা হাল নিয়ে যেতো – মাঠে মাঠে
সপ্তাহান্তে একদিন – যাওয়া হতো হাটে।
ক্ষেত গুলো ভরা ছিল – নানান ফসলে
পরস্পর মিলেমিশে – খেতো তা সকলে।
গ্রামেতে তখন ছিল – খুব কম অভাব
আত্মীয়তা হেন যেন – ছিল সদ্ভাব ।
অগ্রহায়ণের ধান তুলে – হতো পিঠা পুলি
আগের মত এখন আর – হয় না এগুলি।
আগে আগে গ্রামে ছিল – পুকুরের ঘাট
ঘাটে বসে হতো কিছু – নাটকের পাঠ।
পুকুরের পাশে হাঁটতো – ডাহুক এর দল
মাছরাঙা, বক আরো – শিকারী ঈগল।
গ্রামের পাশে থাকতো – খাল, ছোট নদী
ছেলেরা কাটতো সাঁতার – তাতে নিরবধি।
পাগুলিয়া’র পাশে বহে – কোদালি ছড়া
শিশু কালে হতো তা’তে – কতো মাছ ধরা।
বড়শি, পলো, জালে – হতো মাছের জোগাড়
গ্রামেই ছিল তখন – খাদ্যের ভান্ডার।
শেয়ালের ডাকে ভয়ে – শিশুরা ঘুমাতো
পাখিদের কলরবে – ভোরে জাগা হতো।
প্রতিদিন বিকালে – পেলে অবসর
ছেলেদের মতো হতো – বুড়োদের আসর।
গ্রামের মাঝেই ছিল – খেলাধুলার মাঠ
বাড়ি ঘর নির্মাণ কল্পে – হয়েছে ভরাট।
প্রতি গ্রামে ছিল কিছু – স্বীকৃত আচার
অপরাধ হলে হতো – গ্রামেই বিচার।
এগুলো এখন আর – যায় না তো দেখা
না জানি কপালেতে – কি আছে যে লেখা?
১৪/০৫/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।