ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

ডাকছে সোনালী নদী / বিপ্লব ঘোষ

ডাকছে সোনালী নদী / বিপ্লব ঘোষ


জন্ম থেকে মানুষের আমার করে মরে যাওয়া  

বই পড়ে কর্মজীবন, বাড়ি আর সংসার  
যতটা নিজের করে পাওয়া  
এতটুকু নয় ছেড়ে দেওয়া ।

জীবন উপান্তে মনে হয় তখন
সেই মানুষের কতটুকু প্রয়োজন!
যা কিছু রইল, এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি  
কী নিয়ে যেতে পারে মানুষ! 
শূন্য থেকে এসে শূন্যে নাচি 
যে বাড়ি করে নেচে দুটি শিং গজালো  
গুপধন আগলে বসে হায় 
আজ তাকেই বলি, ভাল থেকো,বিদায় ।

যে টাকা আছে,বলি, নিয়ে যাও 
আলমারিতে যত জামা কাপড় যত্নে ছিল  
সব বার করে দিয়ে দিলো 
যতদিন আছি দুটো তো ভাত খাওয়া  
কম কষ্টে যতটা থাকা যায়  
তার জন্যে বেশি কিছু নয় 
বয়েস হলে “মানুষ” হতে ভারি সুখ
বোধ জাগে,যেতে হবে, একা হয়ে  
কী হবে আর বোঝার দুখ 
সব দিয়ে যাই এই বেলা  যদি 
যাই, ডাকছে সোনালী নদী । 
——
যাই 
যাই,ভোরের ধূসর পাহাড় 
সূর্যের আলোয়  সাজতে বসেছে  
এই জীবন শুধু আলোছায়া  
অন্ধকারে যে আলো আছে  
তুমি খুঁজে নিয়ো জীবন 
এই যে পথ চলেছে পথ ছাড়িয়ে  
কোথায় যেতে চায়  
আকাশের কোলে ধ্যানস্থ হয়ে  
তারপরেও পথিক যেতে হবে 
অচিনপুরের দেশে,সেখানেই তো আছে  
আলোকিত অন্ধকার ।

যে সকাল আসে, চলে যায়  

সে-ই সকাল আসে না 
যাই, ডাকছে নদী, তরী বাঁধা ঘাটে  
দূর ,সমুদ্দুরে …..
পথ 
পথ আছে পথে দাঁড়িয়ে  
যেতে নাহি দিবো 
দুপাশে গাছেদের কুর্নিশ 
পথকে কোনোদন কেউ রুখতে  পারে  ! 
পাহাড় চূড়ায় আলগোছে ময়দা বিছিয়েছে 
ঝর্ণা নির্জনে করুণ সুরে  
এ পথে একদিন খেলা করে গেছি 
আজ কেন যে অচেনা লাগে 
তবু নাম ধরে ডেকে যায় 
চেনা বাতাসের গন্ধে ।
সংবাদটি শেয়ার করুন