পুলক বড়ুয়া ||| ক্ষমাসুন্দর
একটা সীমা পর্যন্ত পৌঁছুতে পেরেছিলাম তারপর
আর পারিনি, আমাকে প্রবেশ করতে দাওনি
আমি দাঁড়িয়েছিলাম, আমাকে তুমি আর কাছে
আসতে দাওনি, ঘেঁষতে দাওনি, পাশে বসতে দিলেও—আরেকটু আশা করতে—আসতে দাওনি—আমি ওখানেই
থেমে ছিলাম—থমকে দাঁড়িয়েছিলাম—আমি তো
সীমালঙ্ঘন করিনি আর
অগ্রসর হইনি, শরমিন্দা আমি তখন সাহস
ভুলে গ্যাছি—আমাকে তুমি গ্রহণ করনি, আমাকে
তুমি ডাকনি, আমাকে তুমি আঁকনি, আঁখিতে তুলে নাওনি দূরে ঠেলে দিয়েছিলে, সূদূরে—
কত জন্মজন্মান্তরে,কল্পকল্পান্তরে, আমি কী জানি
আমি কোনো কর্মফলে বিশ্বাস করে—
সান্তনার সাম্পানে পাড়ি দিইনি : পানি
অথবা নদীর এপার-ওপার এঁফোড়-ওফোঁড় করিনি
তোমার ঢেউয়ের বুকে মাথা কুটে মরিনি
আসমুদ্র-হিমাচলের মতো
তোমার আপাদমস্তক সন্তরণ করিনি
আমি অভিলাষী বটে, কিন্তু
তোমার সীমা পাড়ি দিইনি
একটা সীমান্ত পর্যন্ত আসতে পেরেছিলাম
পাড়ি জমাতে পারিনি, সেই
সীমারেখা পার হইনি, নাওনি, যেতে দাওনি, আমার
ঠাঁই হয়নি, আমি থাকতে পারিনি; আমি
তোমার মৌনতা লঙ্ঘন করিনি, নীরব সম্মতি আদায় করিনি সদয় অনুমতি সাদর অনুমোদন চেয়েছি মাত্র
না, আমি কোনো ঘূর্ণিঝড় নই
আমার আঘাত হানার
আমি যখন ঝাঁপিয়ে পড়ছি
তখন তুমি আমাকে ঠেকিয়ে দিলে
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বনের মতো
প্রিয় সুন্দরবনের মতো
প্রিয় সুতনুকা, ওগো সুন্দরী মঞ্জরী
আমি তোমার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পারিনি এখনও
আমার অক্ষমতা ক্ষমা কর
তুমি তোমার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি বুলিয়ে নিও অঙ্গে !
সিবিএনএ/এসএস
সর্বশেষ সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন