ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন ঝলক-গল্প

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন ঝলক-গল্প
————————————————
আলু
মোবাইলে স্বামীর ছবি দেখিয়ে বউটি বলল, দাদা, আমার স্বামীকে কি দেখেছেন? পাঁচ দিন আগে বাজারে আলু কিনতে গিয়েছিল। এখনও আসেনি।
লোকটি বলল, তাতে কী হয়েছে? অন্য কিছু রান্না করে নিন।
————————–
পাঁচ-পাঁচটা
মেয়েটি ফোন নিয়ে এসে হীরককে বলল, আরে, এ তো বিশ্বাসই করছে না যে, তোর গার্লফ্রেন্ড আছে।
ছেলেটি বলল, তাই? ঠিক আছে আমাকে দে, বলেই ফোনটি নিয়ে বলল, একটা নয়, আমার পাঁচ-পাঁচটা গার্লফ্রেন্ড। আর প্রত্যেকটা গার্লফ্রেন্ডকেই আমি আইফোন টুয়েলভ দিয়েছি। তাও আমার টাকায় নয়, বাপের টাকায়… বলেই, ফোনটা এগিয়ে দিল মেয়েটির দিকে। বলল, আমি নিজে বলেছি তো… এ বার নিশ্চয়ই বিশ্বাস করবে। কিন্তু ফোনটা করেছিল কে?
মেয়েটি বলল, মেসোমশাই, মানে তোর বাবা।
————————
ভালবাসা
দু’জন হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিল। ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা, তুমি আমাকে কতটা ভালবাসো?
মেয়েটি বলল, আমি যখন যাকে ভালবাসি, জীবন দিয়ে ভালবাসি।
ছেলেটি বলল, সত্যি?
মেয়েটি বলল, বিশ্বাস না হলে তুমি তোমার ভাইকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে দেখো।
————————
পর্দা
বউ বলল, শোনো না, এই জানালাটায় একটা পর্দা লাগানোর ব্যবস্থা করো।
বর জিজ্ঞেস করল, কেন?
বউ বলল, সামনের ফ্ল্যাটের ছেলেটা মাঝেমাঝেই উঁকিঝুঁকি মেরে আমাকে দেখার চেষ্টা করে।
বর বলল, ওকে একবার ভাল করে দেখে নিতে দাও। দেখবে, ও নিজেই ওদের জানালায় পর্দা লাগিয়ে নিয়েছে।
————————
আই লাভ ইউ
ঈশান‌ ‘আই লাভ ইউ’ বলতেই তনুশ্রী লজ্জা পেয়ে গেল। ঈশান বলল, আই লাভ ইউর মানে জানিস?
তনুশ্রী বলব, হ্যাঁ, আমি তোমাকে ভালবাসি।
অমনি ঈশান বলল, যা, ভাগ। যেই একটু ইংরেজি বলেছি অমনি আমার ওপরে ফিদা হয়ে গেছিস?
————————
চুমু
প্রেমিক বলল, এই, আমি তোমাকে একটা চুমু খাব?
প্রেমিকা বলল, না। একদম না। চুমু খেলে যদি প্রেগনেন্ট হয়ে যাই?
— ধুস, চুমু খেলে কেউ প্রেগনেন্ট হয় নাকি?
— তা না, আসলে আমি যদি একবার শুরু হয়ে যাই, আমি আমার বাবার কথাও শুনি না।


————————
সিদ্ধার্থ সিংহ
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত


সংবাদটি শেয়ার করুন