যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে বাংলাদেশের উন্নতি হেয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দেশের ভেতরে এ ধরনের অপরাধের বিচারে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থার কারণে গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। এ বছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি থেকে উন্নীত হয়ে দ্বিতীয় স্তরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলিকে ভাগ করা হয় এবং সেগুলি হচ্ছে প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।
উল্লেখ্য সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে মানবপাচারের জন্য ৬৪৪টি মামলা হয়েছে, নিষ্পত্তি হয়েছে চারটি মামলা, ১১ জনের যাবজ্জীবন ও তিনজনের অন্যান্য মেয়াদের শাস্তি হয়েছে। এর এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে মোট মামলা হয়েছে ৫৪৭টি, ৩৪টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং সাতজনের যাবজ্জীবন এবং একজনের অন্য মেয়াদের শাস্তি হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা ছিল ৩,৮৫৩ এবং এক বছর পরে সেটি দাড়ায় ৪,৪৪০ টি মামলা।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার বিচার না হওয়া। এ বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এলিস ওয়েলস ঢাকা সফরের সময়ে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করেছিলেন।
আইন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্যরা বিষয়টি অনুধাবন করে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে সাতটি বিভাগীয় শহরে সাতটি মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করার জন্য সরকার ইতিমধ্যে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দিয়েছে। এর পূর্বে মানবপাচার অপরাধ সংক্রান্ত মামলা নারী ও শিশু আদালতে বিচার করা হয়। মানবপাচার সংক্রান্ত অপরাধ বিচার করার জন্য ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে ২০১২ সালে মানবপাচার প্রতিরোধ আইন পাস হয় সংসদে কিন্তু আট বছর পর এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা হলো।-বাংলা ট্রিবিউন
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন