আমার ভূটান দেখা |||| আবুল জাকের ||| পর্বঃ ২
থিম্পু তে দু দিন এক রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে পুনাখা যেতে হবে। একটা কথা বলে রাখা ভালো এই দুই দিনে কোথাও আমি পশ্চিমা সভ্যতার ছাপ দেখিনি। কারন বোধহয় একটাই। ইংরেজরা কখনো ভুটানে রাজত্ব করতে পারেনি। টুরিস্ট ছাড়া কাউকে প্যান্ট, সার্ট বা স্কারট পরা চোখে পরে নি। বড্ড অমায়িক, হাসি খুশী। আস্তে কথা বলে। বাঙ্গালিদের মত জোরে নয়। কোণ চিৎকার চেচামিচি নেই। খাবার ও তাদের মতো রান্না করে। হোটেলে বা বাইরে কোণ মানুষকে কাজের সময় গল্প করতে দেখিনি। শিক্ষা ও চিকিৎসা রাজার দায়িত্ব। তাই হয়তো অনেকেই শহরে ইংরাজি বলতে জানে। ভ্রমণকারীদের অসুবিধা হয় না। থিম্পুর রাস্তা ভাঙ্গা দেখিনি কোথাও। ময়লা চোখে পরে নি। থিম্পু স্টেডিয়াম ও একদম ঝকঝকে। কোথাও খাবারের প্যাকেট নেই। ইংরেজরা বাঙ্গালীদের ঠিক উল্টো বানিয়ে দিয়ে গিয়েছে। অমায়িক ও সাদাসিধে বাঙ্গালীদের শিখিয়েছে বাবু আনা করা, দুর্বলের উপর অত্যাচার ও চিৎকার করা, মারধর করা, মিথ্যা কথা বলা , অপরের সম্পদ চুরি করা, লোক ঠকানো , পাশ্চাত্য পোশাক পড়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। বড্ড অনুকরন প্রিয় বাঙ্গালী।
ভূটানে লেখক
ভুটানে রাজা ও রানী থেকে সাধারণ মানুষ একই ধরনের পোশাক পরে। শুধু তফাত রঙ্গে। ছেলেদের পোশাককে বলা হয় “গো”, মেয়েদের “কোরা”। বাড়ীর নকশা প্রায় একই রকম। পাহাড়ের বাড়িগুলি কাঠের তৈরি।দোতালা। আমাদের পদ্মা পারের বাড়ীর মতো। রোটারিয়ান ছোট ভাই রাসেলদের পদ্মা পারের গ্রামের বাড়ী দেখে জেনেছি। থিম্পু ফুলের বাগানে যে ধরনের বাড়ীর প্রতিকৃতি আছে সেই রকম। রাজা তৈরি করেছিলেন রাজকুমারীর স্মরণে। এমন একটা বাগান যদি ঢাকায় থাকতো ভালো হতো। যেখানে বাংলাদেশের সব রকমের ফুল দেখতে ভ্রমণকারীরা সুজুক পেত। সরকারী খরচে।
সকালে উঠে পরলাম তাড়াতাড়ি। নাস্তা সেরে রওনা দিতে হবে পুনাখার দিকে। পাহাড়ি রাস্তা। তিন ঘণ্টার ড্রাইভ। গাইড অপেক্ষা করবে। রাতেই সুটকেস গুছিয়ে রাখলাম। স্নান সেরে নিলাম। নাস্তা ভালই ছিল। অম্লেট ,ভাজি, আলুর দম, পরোটা ও চা। মুরগীর মাংস ছিল। খাই নি। সকালে গুড মর্নিং বলে জানতে চাইলাম তারা এটা কিভাবে বলে। বলল “কুযুজাম্প”। বিদায় নিলাম “তাশিদেলেক” ও “কাদিঞ্চেলা” বলে। যার ইংরেজি হোল বাই এবং থেঙ্কস।
পুনাখা যেতে আরেকটা পাস নিতে হবে। আমি একা যাচ্ছি , তাই পাস পাওয়া যাবে না। কমপক্ষে দু জন যাত্রী দরকার। সুমন বেশ তড়িৎ কর্মা। বেশ কষ্ট করে পাস যোগার করে। কিন্তু তার জন্য আমাকে আন্ডারটেকিং দিতে হবে। তার অর্থ কোণ অঘটন ঘটলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। রাস্তায় ইমিগ্রেসান অফিসের সামনে থেকে ওই পাস নিয়ে শুরু হোল আমাদের পুনাখার পথে যাত্রা।
পুনাখা যাবার মূল আকর্ষণ হোল হিমালয়ের চুড়া দেখা। যদি ভাগ্য প্রসন্ন থাকে ও আকাশ মেঘলা না হয়। টচুলা পাস থেকে। পর্বতমালার গা বেয়ে আঁকা বাঁকা রাস্তা। তাতে অসুবিধা হয় নি। চালক খুব সাবধানী। রাস্তাও বেশ মসৃণ। কোথাও ভাঙ্গা চোখে পরেনি আর কখনই সামনে থেকে গাড়ী আসেনি। সবাই খুব সুন্দর ভাবে গাড়ী চালায়। প্রায় ঘণ্টা খানিক চলার পর চেক পোস্ট আসলো। চালক আমাকে গাড়ীতে থাকতে বলে নিচে নেমে গেলো চেক পোস্টে। অনুমতি নিতে। সারি সারি গাড়ী দাড়িয়ে আছে। ভদ্র ভাবে। কেউ কারোর আগে যাবার চেষ্টা করছে না। প্রায় দশ মিনিট পর গাইড ফিরে এলো। আমি তাকিয়ে দেখছিলাম রাস্তার ধারের পরিপাটি দোকানগুলো। বেশীর ভাগই খাবার দোকান।
যাত্রা শুরু হোল আবার। বেশ মজাই লাগছিল। মাঝে মাঝে চিন্তা হচ্ছিল ধীরে ধীরে উচুতে উঠতে উঠতে। আমি প্রেসারের রুগী। সাথে সুগার প্রবলেম। বয়স ও কম হয় নি। কিছুদিন আগে পদ্মার পারে ফেরার সময় মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিলাম। সুগার ফল করাতে। তাই ভয় পাচ্ছিলাম মাথা ঘুরার। না তার কিছুই হয় নি । ভাগ্য নেহাত ভালো। পথে দেখালাম অনেক পুরানো দুর্গ “সেন্থকা”। ১৬২৭ সালে তৈরি। পাহাড়ের মাথায়। মাঝ পথে গাড়ী থামাল চালক। দেখালাম রাস্তার পাশে দুজন বয়স্ক মহিলা ভুট্টা বিক্রি করছে। কাঠের আগুনে ঝলসানো। যেতে যেতে খেতে ভালই লাগছিল।গাইড কিনে আনে।
প্রায় ঘণ্টা খানিক পর পৌঁছলাম “দোচালা পাস”। পর্বত মালার চুড়ায়। ৩২৫০ মিটার উপরে, ভুমি থেকে। জায়গাটা খুব বড় না। কিন্তু সুন্দর করে সাজানো। ১০৮ টা স্টুপা বা বুদ্ধার শরীর দিয়ে তৈরি বেশ বড় স্ট্রাকচার বা মন্দির। দেখেতে ভারী সুন্দর। তার বিপরীতে আছে একটা কফি শপ। ডান দিকে একটু উপরে দুটো একতলা দালান। পুরো জায়গাটা গম গম করছে পর্যটকদের দ্বারা। ভাগ্য খুবই খারাপ। মেঘলা আকাশ। কুয়াশা ছুয়ে যাচ্ছে শরীর। খুব বেশী দূর দেখা যায় না।তাপ মাত্রা ১০ এর নীচে। হিমালয়ের চুড়া আর দেখা হোল না। জানতে চাইলাম কখন ভালো সময় হিমালয় দেখার। বলল ডিসেম্বর। ভরা শীতের সময়। শরীর ভালো থাকলে পরের বার ডিসেম্বরে আসার কথা মনে করে মনকে সান্ত্বনা দিলাম। বেশ কয়েক রকম ফুল দেখলাম ওখানে। ওরা একে বলে “রগজেন্ড্রন”। ৪৭ রকমের আছে। চেষ্টা করলাম কিছু ফুলের ছবি তুলতে। প্রকৃতি নিজের খেয়ালে নিজেকে সাজিয়েছে এই ফুল দিয়ে। কেউ লাগায় নি। ঠাণ্ডা লাগছিল। তাই গাইড সুমনকে বললাম চল কফি শপে যাই। ভিতরে বসার জায়গা নেই। লোক ভর্তি। বেশীর ভাগ ভারতীয়। তীর্থ দর্শনে এসেছে। গোটা পরিবার নিয়ে। কোনায় একটি টেবিল পাওয়া গেলো। আমরা বসলাম। গাইড গেলো কফির ফরমাইস দিতে। সেলফ সার্ভিস। তাই যেয়ে নিয়ে আসতে হোল। ভালই লাগলো কফিটা। ৩০০০ মিটার উপরে, ঘন কুয়াশা ডাকা দুপরে। কেমন একটু অন্যরকম অনুভূতি। বাইরে এসে সবটা জায়গা আবার ঘুরে দেখলাম। স্টুপার উপরে উঠার ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু পদ্মার কথা ভেবে আর উঠিনি। গাইড জানালো এবার রওনা দিলে ভালো হয়। লাঞ্চ করতে হবে রিসোর্টে। মনে হোল আরও কিছুক্ষন থেকে গেলে মন্দ হয় না। কিন্তু ফিরতেও তো হবে। এখানে থাকার জায়গা নেই।
যাত্রা শুরু হোল আবার। এবার নিচে নামার পালা। আমি কি খাব ও কয়টায় পৌঁছাব সব চালক আগে থেকেই জানিয়ে দিলো বুঝলাম। গন্তব্যস্থল “মেরি ফুন্সেম” রিসোর্ট। যেতে বেশ ভালই লাগছিলো। আগে উপরে উঠতে দু ধার দেখেছি। এখন নিচে নামার সময় দেখছি। দৃশটা অন্যরকম। বেশ উপভোগ্য। উপর থেকে নিচে তাকিয়ে পর্বতমালা দেখা। মাঝখানে সমতল ভুমি। অনেক অনেক নিচে। প্রায় ঘন্টা খানিক পরে রিসোর্ট এ পৌঁছলাম। তাও পাহাড়ের উপরে। বেশ ছিমছাম ও সুন্দর। কাউন্টারে রিপোর্ট করে চাবি নিয়ে বের হয়ে দেখি রুম টা বেশ নিচে। সিঁড়ি বেয়ে নামতে হবে। গাইডকে বললাম অসুবিধার কথা। সে আবার বদলিয়ে আনল। দেখলাম এটায় অসুবিধা হবে না। মাত্র একটা সিঁড়ি নিচে।
পাহাড়ের ঢালে কটেজ টা। বেল্কনি থেকে দেখতে ভালই লাগছিলো। সারি সারি পর্বত মালা। মাঝখানে নদী ও সমতল ভুমি। সবুজ আর সবুজের মেলা। রুমটাকে দেখে মন্দ মনে হোল না। ছিম ছাম। বাথরুম টাও ভালো। রিসোর্ট ঠিক যেমনটি হয়। মুখ হাত ঘুয়ে কাপড় বদলে নিলাম। লাঞ্চ সারতে হবে বেরোবার আগে। লাঞ্চ ভালো ছিল। সেলফ সার্ভিসে ফুড নিতে গেলে একজন মহিলা এসে জানালো, আপনার খাবার আমরা নিয়ে আসছি। আপনি বসুন। বেশ খানিক্টা সময় পরে খাবার আসলো। সুন্দর করে সাজিয়ে দিলো টেবিলে। বেশ কয়েক রকম সব্জির তরকারী। সাথে গরম গরম রুটি ও ধূমায়িত ভাত।সাথে ফ্রুট জুস। খাবার শেষে ফ্রুট কক্টেল। মিষ্টি খাই না। গরম গরম গোলাপ জাম ছিল। সবশেষে এক কাপ মজাদার গ্রিন টি। লেবু দিয়ে।
রুমে ফিরে রেডি হলাম বিকালের ভ্রমনের জন্য। সুমন অপেক্ষা করছে। রাতে কিছুই দেখার নেই। যা দেখতে হবে রাতের আগেই। পরদিন ফিরে যাবার পালা। তাই বেরিয়ে পড়লাম।
নামতে নামতে দেখালাম পাহাড়ের গায়ে গায়ে কি ভাবে মানুষ থাকে। ছোট সুন্দর বাড়ী গুলি। নদীর পাড় দিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে ছোট রাস্তা। দু দিক থেকেই গাড়ী চলছে। কিছুক্ষণ যাবার পর গাড়ী থেমে গেলো। সামনে যাবার উপায় নেই। জাম লেগে গেছে। দেখতে দেখতে অনেক গাড়ী জমে গেলো আমাদের পিছনে। গাড়ী থেকে নামলাম। সবাই নামছে তাই। দু জন আমেরিকান টুরিস্ট এর দেখা হোলও। গল্প ও হোল। টেক্সাস থেকে এসেছে। জানতে চাইল আমার কথা। বললাম কানাডা থেকে। বেশ কতক্ষণ চুটিয়ে আড্ডা মারলাম। হটাথ সুমনের গলা। স্যার যেতে হবে। গাড়ীতে উঠে বসলাম।
প্রথমে চোখে পড়ল একটি পুনাখা ফরট্রেস। ১৬৩৬ এ তৈরি। চালক জানালো রাজা মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকেন। প্রভিঞ্ছ সফরে আসলে। নদীর ওপারে। নদ ও নদীর মিটিং পয়েন্ট এর একটু আগে। মিটিং পয়েন্ট এ এসে গাড়ী থেকে নামলাম। উপর থেকে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছিল। দু দিক থেকে দুটো পানির ধারা একটা জায়গায় এসে একটি হয়ে গেলো। বেশ বড়। এই প্রথম দেখালাম নদ ও নদী মিলনের দৃশ্য। বেশ উপর থেকে। দেখতে ছবির মত মনে হচ্ছিল। আসলে অনেক বড়। নদকে ওরা বলে “পছু” আর নদী কে বলে “নছু”। দুটি মিলে নতুম নাম নিয়েছে “পুনাটসাংছু”। বেশ কয়েকটা ছবি নিলাম । দুর্গের ও নদীর মিলনের। দূর থেকেই বুঝা যাচ্ছিল নদীর পানিটা খুব পরিষ্কার।
সামনে এগিয়ে গেলাম। চালক রাস্তা ছেড়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে একটি জায়গায় এসে থামল। আর গাড়ী যাবে না। বলল এই যে দূরে ঝুলন্ত ব্রিজ দেখছেন এটা ভুটানের সবচেয়ে বড় ঝুলন্ত ব্রিজ। ১৬৫ মিটার লম্বা। টুরিস্ট রা ওই টুকুন পথ হেঁটে ওটা দেখে আসে। যাবার পথটাও কম নয়। যাবো, না যাবো না ভাবতে ভাবতে না যাওয়া টাও বেছে নিলাম। থাক দূর থেকেই দেখি। পর্যটকরা হেঁটে পার হবার চেষ্টা করছে। মাঝখানে যেয়ে ছবি তুলছে। বেশ খানিকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম।
চালক এর পর একটি সুন্দর জায়গায় নিয়ে গেলো। সেতু পাড় হয়ে। রাস্তার দুধারে ফুল আর ফুল। একটু ভিতরে অপূর্ব কেক্টাসের ফুল ফুটে আছে। জানলাম আগামি সাপ্তাহে ফ্লাওয়ার প্রদর্শনী। দূর থেকে দেখাল কোথায় হবে। বেশ খানিক টা সময় কাটালাম ওখানে । হেঁটে হেঁটে দেখলাম অনেকক্ষণ। মনটা ফুর ফুর করছিল।
সপিং এ যাবার ইচ্ছা নেই। তাই দেখতে চললাম নেপালি ধরনের স্টুপা। নদীর পাড় ঘেঁসে। ছেলেরা খেলছে মাঠে। ছেলেদের খেলা দেখলাম কিছুক্ষন। স্টুপা দেখে নদীর জল ঘেঁসে দাঁড়ালাম। যে নদীর পারে দাড়িয়ে আছি একটু আগে তার সৃষ্টি দেখে এসেছি। অপূর্ব স্বচ্ছ জল। নদীর ওপার ঘেঁসে দাড়িয়ে আছে বিশাল পর্বত। এ পারে আমরা দাড়িয়ে। প্রচন্ড মনকাড়া অসাধারণ দৃশ্য। ভালো লাগলো দেখে তাতে একটুও ময়লা নেই। প্লাস্টিক ব্যাগ ভাসছে না। সত্যিই ভীষণ ভালো মানুষ ভুটানিজরা। বেশ কয়েকটা রাস্তার কুকুর ঘুরে বেড়াতে দেখলাম। কেউ তাড়া করছে না। আমরা বাঙ্গালীরা কেন পারলাম না এ রকম হতে।
এবার রিসোর্ট এ ফেরার পালা। ফিরতি পথে চালক কয়েক বার গাড়ী থামাল। উল্টো দিক থেকে কেমন দেখা যায়। বেশ মজাই লাগলো। সন্ধ্যায় ফিরে আসা হোল নীড়ে। রুমে যেয়ে ধপাশ করে শুয়ে পড়লাম। পানি ফুটতে দিলাম চা খেতে। সাথের আনা বিস্কিট বের করে নিলাম। একটু ঘুমিয়ে রাতের খাবার খেতে যেতে হবে।
ঘুম টা বেশ গাড় ছিল। টেলিফোনে ঘুম ভাঙল। স্যার ডিনার রেডি।
দুপুরে একাই খেয়েছিলাম। রাতে ডাইনিং রুম টা গম গম করছে। দুপরের মত আমার খাবার আলাদা ছিল। ওরাই এনে দিলো দুপরের মতো। বেশ মজা করে খেলাম। বাইরে একটু হাটাহাটি করে রুমে ফিরে এলাম। হিটার টা অন করে দিলাম। স্নান করবো।
রাতে ঘুমটা বেশ গাঁড়ই হোল। সকালে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে রেডি হয়ে নিলাম। নাস্তা খেয়ে পারোর দিকে রওনা দিতে হবে। নাস্তা খেতে যাবার পথে বেশ কিছু সুন্দর ফুলের ছবি তোলা হোল। গরম রুটি, ডিম ভাজি ও সবজি দিয়ে ভালই লাগলো খাবার। এবার পারুর দিকে রওনা দিতে হবে। ভুটান ভ্রমনের শেষ স্পট। ২ দিন থাকবো সেখানে। চলবে…
-এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন