আজারবাইজানকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসরাইল। আজেরি প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদোবের কাছে এ চিঠি পাঠান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার এ খবর জানিয়েছে আজেরি সংবাদমাধ্যম আজভিশন। বাকুর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এ চিঠি পাঠিয়েছেন ইসরালি প্রধানমন্ত্রী। এতে নেতানিয়াহু উল্লেখ করেন, আজারবাইজানের স্বাধীনতায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হতে পেরে ইসরাইল গর্বিত।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ বছরে ইসরাইcলি ও আজারবাইজানিদের সত্যিকারের বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে।
এতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এই এলাকায় সাধারণ স্বার্থের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেছেন।
চিঠিতে বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু আজারবাইজানি জনগণের উন্নতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।
এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।
১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।
দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন