ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

একগুচ্ছ ছড়া ।।।। শাহজালাল সুজন

একগুচ্ছ ছড়া ।।।। শাহজালাল সুজন

লেবাসধারী রোজাদার

রোজার মাসে ছলচাতুরি
রয় ছদ্মবেশ ধরে,
রোজা রেখে ভোগের পণ্য
দাম নয় ছয় করে।

শয়তান নাকি আটক থাকে
রমজান মাসটা জুড়ে,
নিজের ভেতর শয়তান রেখে
ফুল চন্দনটা ছুঁড়ে।

রং পাল্টিয়ে কেমন করে
রাখো তুমি রোজা,
সারা বেলায় উপোস থেকে
কামাও পাপের বোঝা।

লোক দেখানো ইবাদত হয়
ব্যাঙের তোলা ছাতা,
হাশর মাঠে দেখবে সেদিন
শূন্য আমল খাতা।

সুযোগ বুঝে নেও হাতিয়ে
সিন্ডিকেট এই ঘাটে,
ছাড় পাবেনা আমলা কামলা
বিচার হাশর মাঠে।

মানবতার আর্তচিৎকার

মানবতার লুণ্ঠন হচ্ছে
নশ্বর ধরার বুকে,
মানুষ এখন স্বার্থ নিয়ে
থাকতে চায় যে সুখে।

হৃদপিণ্ড টা পুড়ে কালো
চিৎকার হৃদয় ঘরে,
গুমোট বাধা ধোঁয়ার জালে
বিবেক গুলো মরে।

আবেগ এখন রঙিন ফানুস
হৃদ আকাশে উড়ে,
বিবেক গুলোর আত্মচিৎকার
দেহ কবর জুড়ে।

যৌবন কিংবা বার্ধক্য কাল
জীবন নদীর বাঁকে,
শেওলার মতো ভেসে জীবন
কূল কলঙ্কে থাকে।

মানুষ নামক জন্ত গুলো
হৃদয়হীনা জাতি,
স্বার্থের জন্য প্রিয়জনের
নিভায় সুখের বাতি।

বুশরার রোজা

বুশরা নামে ছোট্ট খুকি
আদর করে ডাকি,
সেহরির ক্ষণ হয় যখনি
যেন ভোরের পাখি।

সবার সাথে তাল মিলিয়ে
খায় সেহরি ভোরে,
রবির কিরণ ফুটলে পরে
ক্ষুধায় কাঁদে জোরে।

একটি রোজা তোমরা করো
খাওনা খাবার দিনে,
খাবার খেয়ে আঙ্গুল গুনে
আমার রোজা তিনে।

আমার হলো বেশি রোজা
দেখো বাবা চেয়ে,
বুশরা মনি মন আনন্দে
খুশি নাচে গেয়ে।

মা যখনি খাবার খাবে
ডাকবে বাবার সাথে,
না ডাকিলে ঘুম পাবে না
থাকবো জেগে রাতে।

প্রেম কুমারী

আলতা রাঙা গায়ের গড়ন
ঠোঁটের কোণে হাসি,
রূপের নেশায় মাতাল হয়ে
প্রেম জোয়ারে ভাসি।

চাঁদের চেয়েও সুন্দর তুমি
ভ্রু-যুগল ওই আঁখি,
ঝলসে যাওয়া হৃদয় নিয়ে
রূপ সাগরে থাকি।

ঘন কালো উশির কেটে
হাটো মঞ্জীর পায়ে,
কাঁকন সুরে হৃদয় ঘন্টা
বাজে ছন্দের বায়ে।

চন্দন মাখা ঘ্রাণ ছড়িয়ে
দোলা দিয়ে মনে,
নীল গগনে ভেসে বেড়াও
শুভ্র মেঘের সনে।

প্রেম কুমারী লাজুক লতা
সাবিত্রী হও ভোরে,
উষ্ণ দেহে পরশ দিয়ে
আছো বাহু ডোরে।


ঢাকা-গাজীপুর।
তারিখ-১৯/০৩/২০২৪ইং

 

 

এসএস/সিএ

 

সংবাদটি শেয়ার করুন