বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে বড় আন্দোলন করার চিন্তা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই বিএনপিতে।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি রয়েছে। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও জামিন আবেদন করার কথা ভাবছেন তার আইনজীবীরা। এসব নিয়ে গত মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, বিএনপির নেতাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার জামিন ও মুক্তি আন্দোলন ইস্যুতে দুই ধরনের চিন্তা রয়েছে। কিছু নেতার ধারণা- উত্তপ্ত নেতাকর্মীদের থামাতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সরকার খালেদা জিয়াকে জামিন দেবে। আবার কোনো কোনো নেতা মনে করেন, নেতাকর্মীদের মনোভাব দেখতে আজ আদেশ না দিয়ে অপেক্ষমাণও রাখা হতে পারে। এই অবস্থায় বিএনপি আপিল বিভাগের আদেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন না দিলে বা আদেশ অপেক্ষমাণ রাখলে সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভসহ শান্তিপূর্ণ গতানুগতিক কর্মসূচি দেওয়া হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন চাইলেও সিনিয়র নেতারা গ্রেপ্তার ভয়ে আপাতত বড় আন্দোলনে যেতে যাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অভিযোগ।
দলের নেতারা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির বেশিরভাগ নেতাই মনে করেন সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে না পারলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। এজন্য এ ইস্যুতে রাজপথেও আন্দোলন জোরদার করতে হবে। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কর্মসূচি নিয়ে রাজপথেও থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রবিবার ও মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ঢাকায় কোথাও কোথাও কর্মসূচি পালিত হলেও কেন্দ্রীয় বা মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের তাতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষুব্ধ।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি এক নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা। জবাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা একটি মিছিল ১০০ জন নিয়ে শুরু করেন, শেষ পর্যন্ত ১০/১২ জনের বেশি থাকে না। আপনাদের কী নির্দেশনা দেব?
বিএনপির একাধিক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ নেই বলেই কর্মসূচি সফল হয় না। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, তাঁতী দল, শ্রমিক দল ও মৎস্যজীবী দলের নেতারা শুধু কড়া বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সিনিয়র কিছু নেতা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ডাক দিলেও অনেকেই এর বিপক্ষে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, লন্ডন থেকে তারেক রহমান কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের মতামত নিচ্ছেন। তারা সবাই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে মত দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ৭৫ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া যদি আপসহীনভাবে কারাগারে থাকতে পারেন, আমাদের তো কারাগারে যেতে কোনো আপত্তি নেই। সবাই যদি কারাগারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি তা হলেই সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।
যদিও সরকারের সঙ্গে এখনই কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বিএনপি। গত মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়েছে। ওইদিন তিনি বলেন, মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমরা র্যালি করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি। আমরা এই মুহূর্তে কোনো সংঘাতে জড়াতে চাই না।
যদিও সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন থেকে কোনো কর্মসূচি করতে প্রশাসনের অনুমতি নেবে না বিএনপি। এর পরই জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ব্যানারে হঠাৎ সুপ্রিমকোর্টের সামনের সড়কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। ওই ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেয় পুলিশ। এর পরই বিএনপি অবস্থান পাল্টায় বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, বিএনপির নেতাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার জামিন ও মুক্তি আন্দোলন ইস্যুতে দুই ধরনের চিন্তা রয়েছে। কিছু নেতার ধারণা- উত্তপ্ত নেতাকর্মীদের থামাতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সরকার খালেদা জিয়াকে জামিন দেবে। আবার কোনো কোনো নেতা মনে করেন, নেতাকর্মীদের মনোভাব দেখতে আজ আদেশ না দিয়ে অপেক্ষমাণও রাখা হতে পারে। এই অবস্থায় বিএনপি আপিল বিভাগের আদেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন না দিলে বা আদেশ অপেক্ষমাণ রাখলে সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভসহ শান্তিপূর্ণ গতানুগতিক কর্মসূচি দেওয়া হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন চাইলেও সিনিয়র নেতারা গ্রেপ্তার ভয়ে আপাতত বড় আন্দোলনে যেতে যাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অভিযোগ।
দলের নেতারা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির বেশিরভাগ নেতাই মনে করেন সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে না পারলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। এজন্য এ ইস্যুতে রাজপথেও আন্দোলন জোরদার করতে হবে। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কর্মসূচি নিয়ে রাজপথেও থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রবিবার ও মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ঢাকায় কোথাও কোথাও কর্মসূচি পালিত হলেও কেন্দ্রীয় বা মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের তাতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষুব্ধ।

বিএনপির একাধিক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ নেই বলেই কর্মসূচি সফল হয় না। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, তাঁতী দল, শ্রমিক দল ও মৎস্যজীবী দলের নেতারা শুধু কড়া বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সিনিয়র কিছু নেতা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ডাক দিলেও অনেকেই এর বিপক্ষে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, লন্ডন থেকে তারেক রহমান কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের মতামত নিচ্ছেন। তারা সবাই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে মত দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ৭৫ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া যদি আপসহীনভাবে কারাগারে থাকতে পারেন, আমাদের তো কারাগারে যেতে কোনো আপত্তি নেই। সবাই যদি কারাগারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি তা হলেই সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।
যদিও সরকারের সঙ্গে এখনই কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বিএনপি। গত মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়েছে। ওইদিন তিনি বলেন, মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমরা র্যালি করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি। আমরা এই মুহূর্তে কোনো সংঘাতে জড়াতে চাই না।
যদিও সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন থেকে কোনো কর্মসূচি করতে প্রশাসনের অনুমতি নেবে না বিএনপি। এর পরই জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ব্যানারে হঠাৎ সুপ্রিমকোর্টের সামনের সড়কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। ওই ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেয় পুলিশ। এর পরই বিএনপি অবস্থান পাল্টায় বলে মনে করা হচ্ছে।
