দেশের সংবাদ

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যেসব নতুন ব্যবসা বেড়েছে বাংলাদেশে

করোনাভাইরাস-মহামারির-কারণে-যেসব-নতুন-ব্যবসা-বেড়েছে-বাংলাদেশে
সামাজিক মাধ্যমে প্রায় দুই হাজারের মত নতুন প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রি করছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন কিছু ব্যবসা বেড়েছে বাংলাদেশে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যেসব নতুন ব্যবসা বেড়েছে বাংলাদেশে:-

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর দেশের অর্থনীতিতে এক ধরণের ধস নেমেছে, ছোটবড় সব ধরণের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কিন্তু আবার অন্যদিকে, এ সময়ে বাজারে নতুন তৈরি হওয়া চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু ক্ষুদ্র উদ্যোগ ভালো ব্যবসা করেছে।

সবজি ও ফল, নাস্তা, সুরক্ষা সামগ্রী, পোশাক—কী নেই সেই তালিকায়!

এসব উদ্যোগের প্রায় শতভাগই অনলাইন ভিত্তিক, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন।

প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মানুষেরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এই মূহুর্তে প্রায় দুই হাজারের মত নতুন প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রি করছে।

আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের ২০০’র বেশি কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যস্ততাও এ সময়ে বহুগুণ বেড়েছে।

 

কুরিয়ার সার্ভিসের তুমুল ব্যস্ততা

এই সময়ে অনলাইনে ব্যবসা যত বাড়ছে, ক্রেতার হাতে সেই পণ্য পৌছাতে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা বেড়ে গেছে বহুগুণ।

কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শুরুতে অনলাইন থেকে কেনা পণ্যের সরবারহ ঢাকা এবং বিভাগীয় শহরগুলোতেই প্রধানত করতে হত।

কিন্তু এখন প্রায় সমস্ত জেলা শহরে অনলাইনে কেনা পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

ফলে প্রায় সবগুলো কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জেলা শহরগুলোতে কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, “মানুষ যেটা শপিং মলে কিনতে যেত, এমন সব কিছুই এখন অনলাইনে অর্ডার করছে। গত তিন মাসে আমাদের অর্ডারের হার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বলবো না, কিন্তু বহুগুণ বেড়েছে। আর সেটা শহর এলাকা ছাড়িয়ে প্রায় প্রতিটি জেলা শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।”

মূলত মোবাইলসহ নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক পণ্য, ওষুধ, আমসহ বিভিন্ন ফল, নারী ও শিশুদের পোশাক, সৌখিন নানা সামগ্রীর অর্ডার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌছে দেয়া হচ্ছে।

তবে অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার মধ্যে মি. আহমেদ বলেছেন, তারা যেসব পণ্য অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি করেন, তার মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ ফেরত আসে।

“দেখা গেল অনলাইনে দেখা পণ্যের সাথে বাস্তবে হাতে পাওয়া পণ্যের কিছুটা অমিল পাওয়া গেল, সেক্ষেত্রে পণ্য পেয়ে ক্রেতারা চেক করে আবার সাথে সাথে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। অনলাইনের অর্ডার ডেলিভারির এক চতুর্থাংশ ফেরত পাই আমরা।”

 

নতুন সম্ভাবনা?

রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তাদের সমিতি বেসিসের নেতা লুনা সামসুদ্দোহা মনে করেন, মহামারির সময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য টিকে থাকাটা যখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন প্রযুক্তিকে নির্ভর করে গড়ে ওঠা ব্যবসা খাত নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।

“এর ফলে যে কেবল যিনি পণ্য বানাচ্ছেন বা আমদানি করে আনছেন, তিনিই লাভবান হচ্ছেন এমন নয়। এর সঙ্গে ওই পণ্যটি ক্রেতার হাত পর্যন্ত পৌছাতে কয়েকটি ধাপে নতুন কর্মী তৈরি হচ্ছে। যে ডেলিভারি দেয়, যে পরিবহন সেটা নিয়ে যায়—এসব জায়গায়ও কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।”

তবে, তিনি মনে করেন এক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভর নতুন এসব উদ্যোগগুলোকে নিষ্ঠার সঙ্গে পণ্যের মান এবং যথাসময়ে অর্ডার ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া এসব ছোট উদ্যোক্তারা সফল হলে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ যখন নেন, তখন তাদের পুঁজির সংকট বড় হয়ে দেখা যায়।

সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যেন তাদের প্রয়োজন মত সহায়তা দেয়, সে ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান লুনা সামসুদ্দোহা।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন