দেশের সংবাদ

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও এমডি মাসুদ ১০ দিনের রিমান্ডে

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও এমডি মাসুদ
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও এমডি মাসুদ

জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে শাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

এর আগে পুলিশ মোঃ সাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মুখ্য মহানগর হাকিমের উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে।

মোঃ শাহেদ ও মাসুদ পারভেজের আইনজীবী নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন তারা জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তা আদালত নামঞ্জুর করেছে।

তিনি আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বলেন, “আসামী অসুস্থ ও তারা বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক তাই তারা পালিয়ে যাবেনা। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন। এসব উল্লেখ করে আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেনদ করেছিলাম” ।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আবু আব্দুল্লাহ বলেন অভিযুক্তরা করোনা ভাইরাসের ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন।এমনকি বিদেশ থেকেও এজন্য অনেককে ফেরত আসতে হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুরের অনুরোধ করেছেন তারা।

এর আগে মোঃ শাহেদ ও মাসুদ পারভেজকে হাতকড়া পরিয়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে সকালে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নেয়া হয়।

এসময় তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিলো।

মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করেছিলো র‍্যাব। আদালত আজ তাকেও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

পরে বুধবার ভোরে মিস্টার সাহেদকে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে র‍্যাব।

র‍্যাবের দাবি তিনি নৌকাযোগে নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

নৌকায় ওঠার ঠিক আগ মূহুর্তে নদীর পাড় থেকেই তাকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিলেন র‍্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

গ্রেফতারের পর তাকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় ও ঢাকার উত্তরায় তাকে নিয়ে একটি অভিযান চালায় র‍্যাব।

পরে ব্রিফিংয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান যে, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ সাহেদের একটি অফিস থেকে তারা জাল টাকা উদ্ধার করেছেন।

বুধবার বিকেলেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব।

টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ই জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।

তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ পলাতক ছিলেন।

তখন থেকেই র‍্যাব বলে আসছিল যে মোঃ সাহেদ যাতে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারত যেতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন