কানাডায় “বৈশাখী মেলা ও বর্ষবরণ ১৪২৯” আয়োজকদের সংবাদ সম্মেলন
আগামী ১৬ এপ্রিল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব ও বাংলা সংস্কৃতির ধারক ও বাহক পহেলা বৈশাখকে স্মরণীয় করতে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে আবহমান বাংলার চেতনা ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে কানাডার ক্যালগেরির “আমরা সবাই” আয়োজন করতে যাচ্ছে “বৈশাখী মেলা ও বর্ষবরণ ১৪২৯” ।
বিশেষ এই দিনের আয়োজন কে সাফল্যমন্ডিত করতে আয়োজকদের উদ্যোগে ক্যালগেরির “বাংলাদেশ সেন্টারে” এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি রুপক দত্ত, সহ-সভাপতি জয়ন্ত বসু, সাধারণ সম্পাদক সৌগত নন্দী, অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী সাথী দত্ত, উপদেষ্টা চয়ন দত্ত এবং কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল “প্রবাস বাংলা ভয়েস” এর প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠান সূচী ও লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি রুপক দত্ত। তিনি জানান, নব প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্যকে তুুলে ধরাই আমাদের বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য। মেলায় থাকবে রং বেরং এর বাহারী শাড়ী, ফ্যাশন শো,বাংলার ঐতিহ্যময় পিঠা পুলি খাবারসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরণের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্টল, মূল আকর্ষণ থাকবে ছোট ছোট শিশু কিশোরদের হাতে মুুখ ও মুখোশ নিয়ে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা।
তিনি আরো জানান, বাংলার সবুুজ মাঠ পেরিয়ে বিশ্ব প্রান্তরে সূর্যের আর পান্তাভাতের সংস্কৃতির হাসি তেমন দেখা না মিললেও ঐদিন বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠবে প্রবাসী জীবনের জয়গানে। আমরা আশা করি ঐদিন শিশু-কিশোর আর নারীপুুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ হবে মন্টগোমরি কমিউনিটি এসোসিয়েশন। তুষার আবৃত্ত কানাডার কর্মময় এক ঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙ্গালীরা দিনব্যাপী আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে অন্যরকম এক মিলন মেলায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করনোকালীন গত দু’বছরে আমরা সবাই কমবেশি আপন অনেক স্বজনকে হারিয়েছি। প্রবাস জীবনের এই কষ্ট এখনো আমাদের বিমর্ষ রাখে, অন্যদিকে হতাশা বঞ্চিত কর্মময় প্রবাস জীবনে একটু নির্মল আনন্দ পেতেই প্রবাসীরা বেরিয়ে আসবে, উপভোগ করবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে– এটাই আমার বিশ্বাস।
সংগঠনের সহ-সভাপতি জয়ন্ত বসু জানান, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি যে বলয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি, আমাদের সেই ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নবপ্রজন্মের কাছে আমরা তুলে ধরতে চাই। দেশের সেই রমনার বটমূলের এক খন্ড বাংলাদেশকে এখানে তুলে ধরবো–এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌগত নন্দী বলেন, আসছে নতুন বছর আমাদের সবার জীবনে আনন্দ আর অনাবিল শান্তি বয়ে আনবে, করোনামুক্ত হয়ে সারা বিশ্ব নতুন করে জেগে উঠবে এবং আমরা সবাই একত্রিত হয়ে এখানে বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরবো।
অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী সাথী দত্ত জানান, বাংলা সংস্কৃতি কে তুলে ধরতে ঐদিন আমরা বিভিন্ন রকমের বাহারি খাবার পরিবেশন করবো, আসুন সবাই মিলে উপভোগ করি, নতুন বছর কে বরণ করে নেই।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, একটি দেশের কৃষ্টি ও কালচার হলো সেই দেশের ধারক ও বাহক। আমরা সবাই’ এর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে, এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্ম জানবে ও শিখবে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। শুভক্ষণের অপেক্ষায় আমরা।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার আলবার্টা’র প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল “প্রবাস বাংলা ভয়েস”।
সারাদিনব্যপী অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করবে কলকাতার জি বাংলা সা-রে-গা-মা-খ্যাত প্রখ্যাত শিল্পী ঐন্দ্রিলা দাস। তাঁর সঙ্গীত পরিবেশনায় ফুটে উঠবে বাংলার রূপ, প্রকৃতি, ভালোবাসা ও নির্মল আনন্দ। প্রবাস জীবনে বাঙ্গালীদের মাঝে এই আয়োজন মনের খোরাক ও নির্মল আনন্দ দিতে শতভাগ সফল হবে —এমনটাই মনে করছেন সংগঠকরা।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান