ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

কেন এসে চলে যাও /কথোপকথন/ বিপ্লব ঘোষ

কেন এসে চলে যাও /কথোপকথন/ বিপ্লব ঘোষ


ভালবেসে গোপনে বহুদিন একেলা
একদিন ঝড় হয়ে চলে গেছো 

আমি সেই ঘর 
গুছায়ে তবু রাখিব সেজে ।
 
আবার যদি পথ ভুলে শ্রাবণ দিনে 
বৃষ্টি ভেজা গন্ধে দোর পানে 
মুছায়ে দিব তোমারি মুখ 
কিছু চাহিব না জানিতে – পেলে কি সুখ !
 
সবই কি আকাশের দোষ 
কেন এসে চলে গেলে দুরে ! 
 
তাই আমি ঘরে থাকি শেষে 
দেখা নাই পেয়ে ফিরে যদি যাও শেষে !
 
———-
কথোপকথন
 
প্রথম সম্পাদক– পুজো আসছে। চারটি কবিতা পাঠাবেন। ছোট হলে চলবে।তবে টাটকা। বুঝতে পারছেন শারদ সংখ্যা তো ! 
 
( কয়েকদিন পর)
 
আমি–  কথা মতো চারটি পাঠিয়েছি। দেখুন। তবে সব টাটকা। হাতে গরম।
 
( দুদিন পর)
 
প স– খুব ভাল লেখা।  কোথাও কিন্তু দেবেন না।
আমি– কোনো প্রশ্ন নেই। নিশ্চিন্ত থাকুন।
প স– অনেক সময় ভুল হয় তাই।
 
দ্বিতীয় সম্পাদক– আমি বলছি। একটি বা দুটি কবিতা দেবেন। পুজো সংখ্যা । ভাল কবিতা চাই ( দুদিন পর)
আমি– দুটি দিয়েছি দেখুন।
( কিছুদিন পর)
দি স- এসব কবিতা ছাপতে পারব না। পুজো সংখ্যা, বুঝতেই পারছেন। অনেকে পড়েন। আবার দিন।
আমি — আচ্ছা ( আর পাঠায়নি)
তৃতীয় সম্পাদক–দাদা, এখনো আপনার লেখা পেলাম না। তাড়াতাড়ি করে অন্তত একটি কবিতা বা গল্প পাঠান।
( তিনদিন পর)
আমি – হ্যাঁ ,আমি বলছি। দিয়েছি, দেখবেন।
( পরের দিন)
তৃ স — পেয়েছি । আপনি অন্যদের কত ভাল লেখা দ্যান। ঐরকম দিলে ভাল হয়। 
বুঝতে পারছেন,পুজো বলে কথা, তাই না ! 
আমি– আচ্ছা।
( যে কবিতা দ্বিতীয় সম্পাদকের পছন্দ হয়নি সেটা দিলাম তৃতীয় সম্পাদককে)
( একদিন পরেই)
তৃ স– এবার দারুণ হয়েছে। নমস্কার। ভাল থাকবেন ।
চতুর্থ সম্পাদক– বুঝতেই পারছেন কেন ফোন করেছি । এবার এক গুচ্ছ কবিতা দেবেন।
আমি– বেশ, দু-তিনদিন পরে দিচ্ছি।
( পাঁচদিন পর)
চ স — একটা গন্ডগোল হয়ে গেছে। মনে কিছু করবেন না। মেইলে খুঁজে পাচ্ছি না আপনার লেখা। যদি….
আমি — আমার কাছে তো নেই। নদীর পাড়ে বসে লিখে পাঠিয়েছি। মনে হয় নদীতেই ভেসে গেছে।
 
(  যারা পত্রিকা চালান তারা আমার সবাই নমস্য। কারুকে আঘাত দেবার জন্য এই লেখা নয় । শুধু বলার ,কবিতা যেদিন কবি বুঝে যাবেন সেদিন তিনি আর কবিতা লিখবেন না।তবু তিনি লেখেন ” অমরত্ব” লাভের ইচ্ছায়। কাব্য সৃষ্টির অনুপ্রেরণায় । আর কবিতা কি হলো অর নাই হলো  সেই হিসেব মহাকাল বলবে)
   
 
 
সংবাদটি শেয়ার করুন