গাজায় শতকরা কমপক্ষে ৮০ ভাগ বসতবাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৭৩০০০ বাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কমপক্ষে দুই লাখ ৯০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
২২শে জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সি ওসিএইচএ এক রিপোর্টে এ কথা বলেছে। এর আগে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা বিষয়ক এজেন্সি ইউএনআরডব্লিউএ সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল শেলটার ক্লাস্টারকে। তারাই এবারকার তথ্য দিয়েছে। তারা রিপোর্ট করেছে যে তাঁবুতে এবং নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী আবাসে ভীষণ গাদাগাদি করে বসবাস করছে মানুষ। একটি তাঁবুতে বসবাস করছেন কমপক্ষে ১৫ জন করে মানুষ।
দখল করে নেয়া গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি ইহুদি বসতি পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মিত্ররা। এর মধ্যে আছেন কয়েকজন মন্ত্রীও। বিশেষ করে এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উগ্র ডানপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির-এর নাম উল্লেখ করা যায়। এমন মন্তব্যে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইসরাইল।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে একে ভয়াবহ উস্কানি সৃষ্টির ইস্যু হিসেবে মনে করছে হোয়াইট হাউস। তারা বলছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের যে পলিসি, ওই মন্ত্রীদের বক্তব্য তার বিরুদ্ধে যায়। রোববার রাতে জেরুজালেমে এক সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি। সম্মেলনে যোগ দেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিপরিষদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। সেখান থেকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনে উৎসাহিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্রের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই সম্মেলন নিয়ে বিরক্ত যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, সেখান থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে।
তারা গাজার জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিদের জোর করে পুনর্বাসন করার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, অব্যাহত এবং দ্ব্যর্থহীন অবস্থান আমাদের। তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানিমূলক এবং দায়িত্বহীনের। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কথা আমরা শুনেছি। তিনি বলেছেন, গাজা পুনরায় দখল করে নেয়ার ইচ্ছা নেই ইসরাইলের। এই বিবৃতিতে নিজের জোটসঙ্গীদের এমন আহ্বান দমন করার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : মানবজমিন