অস্ত্র কখনো রোমান্টিকতা, উদ্যম যৌনতা, আবার কখনোবা রাজনৈতিক ফান্ড রেইজিং
এক চীনা গুপ্তচরের সত্য থ্রিলার
এ যেন এক আধুনিক মাতাহারি কিংবা ক্রিস্টিন কিলারের ছায়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি গুপ্তচর মাতাহারির বিভঙ্গে মাৎ হয়ে গিয়ে কত জেনারেল, কত মেজর তার হাতে তুলে দিয়েছে গুপ্ত তথ্য। আর ছয়ের দশকে ব্রিটেনের বারবনিতা ক্রিস্টিন কিলার তার কামকলার সুনিপূণতা দিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব জন প্রফুমোর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা নথি। আর চীনা নারী গুপ্তচর ফাং ফাং ওরফে ক্রিস্টিনা ফাং যেন মাতাহারি আর ক্রিস্টিন কিলারের সংমিশ্রনে গড়া। চীন এই নারী এজেন্টকে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় পাঠায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ট হয়ে চীনে তথ্য পাচারের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে।
ফাং ফাং ভর্তি হয় বে-আইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর তার খেলা শুরু হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার সামাজিক জীবনে মক্ষিরানী হতে তার সময় বেশি লাগেনি। রাজনীতির বৃত্তেই তার আনাগোনা বেশি ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা আক্সিওস এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, দু’হাজার এগারো থেকে পনেরো অত্যন্ত সক্রিয় ছিল ফাং ফাং। আক্সিওসের তদন্ত জানাচ্ছে চীন এইরকম ফাং ফাং ওবামার সময় পাঠিয়েছে, ট্রাম্পের সময়ও এরা এসেছে। বাইডেন যুগেও চীন নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকবে না। ফাং ফাং ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম সিনেটর পদপ্রার্থী এরিক শোয়ারউইলের জন্যে ফান্ড রাইজিং এর ব্যবস্থা করেন। সেই সময় সোআরউইলের অনেক গোপন তথ্য জেনে নিয়েছিলেন ফাং ফাং। এফবিআই এর জেরায় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ফাং ফাং এর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। নিউ ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের দু’জন মেয়রের সঙ্গে রীতিমতো যৌন ও রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ফাং ফাং বহু তথ্য হাতিয়ে নেয়। এক মেয়রের সঙ্গে তার যৌন সংসর্গের ছবি এফবিআই এর গোপন সার্ভিলেন্স ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। বিছানায় দুর্বল মুহূর্তে মেয়র অনেক গোপনীয় তথ্য ফাং ফাংকে দিচ্ছেন সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। দু’হাজার পনের নাগাদ ফাং ফাং আমেরিকা ছেড়ে চলে যায় বলে আক্সিওস জানিয়েছে। তবে, তাদের ধারণা আরও বহু ফাং ফাং এখনও আমেরিকায় আছে।।
-এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন