তারুণ্য ধরে রাখার উপায় কি? সঠিক লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে তারুণ্যকে ধরে রাখা সম্ভব। কিছু খাবার রয়েছে, যা বয়সের ছাপকে দূরে রেখে তারুণ্য ও যৌবনকে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
রঙিন ফলমূল ও শাক-সবজি
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে সজীব ও সতেজ রাখে। পাকা পেঁপে, কলা, গাজর, সবুজ শাক, ব্রকোলি ইত্যাদি ছাড়াও ভিটামিন-সি জাতীয় খাদ্য (লেবু, আমলকী, কমলা) শরীরকে সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাদাম
বাদামে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন-ই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে বাদাম খেলে অতিরিক্ত বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।
দুধ
দুধে রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান। দুধের প্রোটিন, ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত রেখে সুঠাম দেহ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ত্বক পরিষ্কার করে।
পানি
ত্বককে সজীব, সতেজ ও টান টান রাখতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। পানি ত্বকের অকালবার্ধক্য ও টান পড়া রোধ করে। স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।
বেদানা
বেদানায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও হিমোগ্লোবিন তৈরির উপাদান। বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের নমনীয়তা বজায় রেখে ত্বককে টান টান রাখতে সহায়তা করে।
গ্রিন টি
এতে রয়েছে শক্তিশালী পলিফেনল, যা রোদ বা ক্ষতিকারক দূষিত বস্তুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
টমেটো
টমেটোতে থাকা লাইকোপেন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব ও সতেজ করে তোলে এবং অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
আখরোট
আখরোটে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের কোলাজেন বাড়িয়ে ত্বককে টান টান রাখতে সহায়তা করে। এতে আরো রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
মেথি
মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা, ডায়াবেটিস এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক। মেথি পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে তারুণ্যকে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা
ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদান দেহের ওজন কমায়। এ ছাড়া অ্যালোভেরার জুস টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আমরা খাবারের মধ্যেই দেহের প্রয়োজনীয় ও সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি। নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রেখে যৌবন ও তারুণ্য ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। সব সময় বিষণ্নতামুক্ত ও হাসিখুশি থাকুন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে তারুণ্যকে জয় করুন।
লেখক
নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়েট কনসালট্যান্ট
ডলফিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কুষ্টিয়া
সূত্রঃ কালের কন্ঠ