নারী কাউন্সিলর পদ, বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ
বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন বউ ও শাশুড়ি। পঞ্চম ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন পুত্রবধূ রেবেকা সুলতানা ওরফে লিমা ও শাশুড়ি খোদেজা বেগম। তারা একে অপরকে ছাড় দিচ্ছেন না।
শাশুড়ি খোদেজা বেগম (বর্তমান নারী কাউন্সিলর) পর পর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয়বার তিনি বিএনপিদলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৃতীয়বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। কিন্তু এবার একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন তারই ছেলের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ওরফে লিমা। খোদেজা বেগম পেয়েছেন জবা ফুল প্রতীক আর লিমা পেয়েছেন চশমা প্রতীক।
বর্তমান কাউন্সিলর খোদেজা বেগম বলেন, ‘টানা ১৭ বছর ধরে আমি সাধারণ ও গরিব মানুষের পক্ষে কাজ করেছি। তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। এসব কাজ-কর্মের প্রতিদান এবারও ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
ছেলের স্ত্রী প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে খোদেজা বলেন, ‘বাড়ির মধ্যে একটু সমস্যা আছে। তাই নিজের ছেলে আমার বিরুদ্ধে তার বউকে দাঁড় করিয়েছে। পুত্রবধূ আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তা নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’ নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী খোদেজা বেগম।
কাউন্সিলর প্রার্থী রেবেকা সুলতানা লিমা জানান, দীর্ঘদিন তিনি ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। তাতে তিনি ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। একই এলাকা থেকে শাশুড়ির বিরুদ্ধে প্রার্থী হলেও জয়ের ব্যাপারে কোনো বাধা দেখছেন না তিনি।
প্রার্থী রেবেকা সুলতানা লিমার স্বামী আলমগীর হাসান মায়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ভোটে দাঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘মায়ের বয়স হয়েছে। তাছাড়া তিনি তিনবার কাউন্সিলর ছিলেন। এজন্য এলাকার প্রায় ৫০০ ভোটার চেয়েছেন মায়ের পরিবর্তে স্ত্রীকে প্রার্থী করা হোক। আম্মা সেই কথা শোনেননি। তাই ভোটারদের চাপে আমার স্ত্রী প্রার্থী হয়েছে।’
বউ-শাশুড়ি ছাড়াও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন আরও পাঁচজন। তারা হলেন ফাতেমা বেগম ছন্দা (আংটি), রাবেয়া খাতুন (টেলিফোন), আফরোজা আক্তার রিমা (আনারস), বিলাসী রানী সরকার (অটোরিকশা) ও শাহিনুর (দ্বিতল বাস)।
এই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ২১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩০ জন এবং সাতটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।