বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব কানাডার মাসিক প্রকাশনা । শব্দগুচ্ছ ।। জানুয়ারি ২০২২
সাঁকোর সাঁতার মুনূহু ||| মুহম্মদ নূরুল হুদা
দেখা হয়ে যায়
যদি ছায়ায় ছায়ায়
কায়া সঙ্গে অফর
বেলায়
সাঁকো পার হয়ে
মনোময় সাঁকো
অহরহ নীলিমায়
রংধনু ডানা দিয়ে
তাকে ধরে রাখো,
আঁকো দেহসাঁকো।
তুমি কি হলুদ পাখি?
তবে
পাতার আড়ালে
যদি ওড়াউড়ি হবে,
দেখা হোক দেখা
যদিও আমার আমি
যদিও তোমার তুমি
ব্রহ্মাণ্ডের মতো আজো
একা।
এ-পথেই সাঁকোর সাঁতার,
একা সনে একা দেখা
একা পারাপার।
তোমার যে নৌকা আছে,
সে নৌকা আমার।
লেখক পরিচিতি
জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা (৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯) সত্তর দশকের একজন বাংলাদেশী প্রথিতযশা কবি। … তার জন্ম ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে কক্সবাজার জেলায়। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধ শতাধিক। ১৯৮৮ সালে বাংলা কবিতায় উল্লেখযোগ্য অবাদনের জন্য তাকে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। তার কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতকের বেশী। তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের দুটো শাখা প্রতিষ্ঠিত করেছেন আমেরিকায় ও কানাডায়।
…………………………………………………………………………………………………………..
বাকল-কাটা কপাল তোলা ||| মৌ মধুবন্তী
এলো পৌষ ঘরে-ঘরে শুরু হল শীতের আনাগোনা
গানে-গানে পিঠা পুলি ক্ষীর পায়েসের চলে বন্দনা
না-হলে খেজুর-রসের নলেন গুড় শীত জমে না
আহা বাংলার এই আদি দাদী ঐতিহ্য কেউ ভোলে না
বাঙালির জিভে থাকে মন-ভোলানো খেজুর-রসের স্বাদ
পৌষ মাসে বৌ-ঝিয়ের বাড়ে কাম, বাড়ে যে আল্লাদ
শহর থেকে গ্রামে আসে আত্মীয়পরিজন
নানারকম পিঠা খাইতে চায় যে তাদের মন
কুয়াশায় শীতের সকালে ওড়ে ভাপাপিঠার ধোঁয়া
নলেন গুড়ের রাঙা রূপে পিঠা হয় তোয়াতোয়া
এলে পৌষ মাস, লোকে বলে সর্বনাশ, আমি দেখি আশা
গায়ে মাখো কাচা সোনারোদ, পিঠায় দিও ভালবাসা।
লেখক-পরিচিতি
কবি মৌ মধুবন্তীর নেশা- কবিতা লেখা, আবৃত্তি করা, গীতিকবিতা লেখা, মঞ্চ অভিনয়, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ইভেন্ট কোর্ডিনেট করা। মৌ মধুবন্তীর মোট প্রকাশিত – বাংলা কাব্যগ্রন্থ – ১০টি , ইংরজী কবিতার বই-২ টি, ত্রিভাষার কাব্যগ্রন্থ (বাংলা,ইংরেজী ও স্প্যানিশ) -১টি , গল্পের বই ১টি এবং গান প্রকাশিত হয়েছে ১০টি। ত্রিশ বছর ধরে কানাডায় বসবাসকারী বাংলাদেশের মেয়ে কবি ও আবৃত্তিশিল্পী এক কন্যা ও অনেক কবিতার মা। শিক্ষার কোন শেষ নাই এই চিন্তা থেকেই আবৃত্তিমেলার ৭ম থেকে ১০ম আবর্তনের নিয়মিত প্রশিক্ষণার্থী । আবৃত্তিমেলার একজন সদস্য। গত দেড় বছর “ললিতকণ্ঠ স্বরশৈলীর নন্দন বন্ধন” থেকে প্রায় ৪৫০ লাইভ শো করেছেন আবৃত্তির যার মুল উদ্দেশ্য ছিল অতিমারীর কারণে লকডাউনে থাকা মানুষদের মানসিক স্বস্তি দেওয়া এবং বাংলা কবিতাকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা ।কবিতার মর্মে পৌঁছাবার উত্তম পথ তার কাছে আবৃত্তি করা। আবৃত্তি তার ধ্যান ও সাধনা। আগামী দিবগুলো আবৃত্তিমেলার সাথেই থাকবার ইচ্ছা রাখেন। পেশায় তিনি প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর ও অনলাইন মার্কেটার। শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে মাস্টার্স ও কানাডায় ফুড এন্ড নিউট্রিশান ম্যানেজম্যান্টে পোস্ট ডিপ্লোমা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব কানাডা শাখার আহবায়ক কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
…………………………………………………………………………………………………………….
ভালো নেই আজ ||| মোয়াজ্জেম খান মনসুর
ভালো থাকার প্রতিজ্ঞায় অবনত
ছিলাম আমি এতগুলো বছর
সংসারী হাত আত্নজা’দের চুম্বন
জায়া’র ভালবাসাসিক্ত প্রহর।
আমার প্রথম ভালবাসা ফাল্গুন
চৈত্র অবিরাম বর্ষা প্লাবন
এখনো জেগে আছে স্মৃতির
মন্দিরে মধুমাখা হ্নদয় ক্ষরণ।
এতকাল পর আবার কেন হল দেখা নির্বাসনে তোমার আমার
ভালোই তো ছিলাম আমি এতকাল
অতীত ভুলে স্মৃতিময় হাহাকার।
আর ছোঁবে না তোমাকে আমার এ-সংসারী হাত বিদগ্ধ মন
দূর থেকে শুধু দেখে যাব আমি
প্রর্থনায় রেখে যাব অধরা জীবন ।
ভালো থেকো প্রিয়া এ-সংসারে
রেখো না কোনো দুখ-অভিমান।
বহতা স্মৃতিময় জীবন চলে যায়
রেখে যায় হাহাকার অনির্বান।
পরজনমে যদি দেখা হয় আবার
তোমার আমার সখী সুরঞ্জনা
আবার ভালবাসায় তুমুল উত্তাল হব সেদিনের মতন দু’ জনা ।
তোমাকে না-পাবার ব্যথা সখী
পোড়ায় মন অন্তর ক্ষণে-ক্ষণে
এতদূর পথহাটা ভালবাসাহীন
ভীষণ ক্লান্ত রিক্ত আমি এ-জনমে।
চলে গেল জীবনের কতগুলো বছর সোনালি সকাল বর্ণালি সাঁঝ
ভালো আছি? না, ভালো নেই প্রিয়া আমি আজ।
লেখক-পরিচিতি
মোয়াজ্জেম খান মনসুর। টরন্টো প্রবাসী কবি গল্পকার কলাম লেখক। প্রবাস জীবনে গত পঁচিশ বছর ধরে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি মন্ট্রিয়ালের প্রবাস বাংলা পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। টরন্টোর দেশে বিদেশে,দেশের ডাক, সময়, বাংলা পত্রিকা,রিপোর্টার এবং নিউইর্কের ঠিকানা,প্রবাসী, বাংগালী পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। প্রবাস জীবনের প্রচন্ড ব্যস্ততার ভীড় ঠেলে- ঠেলে বর্তমানে টরন্টো থেকে প্রকাশিত মাসিক ম্যাগাজিন প্রবাসী কন্ঠে’র একজন নিয়মিত কলাম লেখক হিসেবে লিখে যাচ্ছেন গবেষনা মুলক (আদিবাসী কানাডা) এবং সমকালীন জীবন ধর্মী প্রবন্ধ। প্রকাশিত গ্রস্থ দুটি।
………………………………………………………………………………………………………………….
শিরোনামহীন ক্রোধ ||| নয়ন হাফিজ
মাঝে-মাঝে ইচ্ছে করে
উল্কি-আকাঁ মাটির পুতুল হয়ে যাই
ক্রোশে-আক্রোশে আছড়ে ভেঙে ফেলি
এই আমাকে
অগোছালো বিছানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেখি
স্মৃতির আলমারিতে রাখা
লাল ছবি নীল ছবি
দুঃখের আঙুরলতা
সুখের বেগুনি ফুল
সঞ্চিত সকল সুখ
কিছু মুখ
কিছু পোস্টার কিছু শ্লোগান।
কে নিয়ে গেল
আমার সকল সঞ্চয়
চেতনার শানিত কৃপাণ
মাটির ব্যাংকে সযত্নে জমানো টাকাকড়ি
আমার সম্বল
আমার অলক্ষ্যে।
এখন শুধু পোড়া গন্ধ পাই
চোখ জ্বলে
ধুসর ধোঁয়ায় ছেয়েছে আকাশ
কে কখন কোথায় যায়
কারা যেন কাকে ধরে নিয়ে যায়
ফেরে না তারা।
এ কোন লোকালয়
এ কোন যাপিত-জীবন
কোকিলের কণ্ঠে গান নেই
অশ্রাব্য ভাষায় কথা কয় অবরুদ্ধ প্রহর।
কোথায় জানি ভুল হয়ে গেল
নিজেকে দেখি, ভেঙে-ভেঙে দেখি
দেখি ৫২ ,দেখি ৭১, দেখি ৭৫
ভাঙা আয়নায় বারবার দেখি
তন্নতন্ন করে খুঁজি সেই ভুল
মেলে না হিসেব
কারা যেন নিরন্তর অংক কষে অলক্ষ্যে
পাল্টে দেয় ইতিহাস ।
মাঝে-মাঝে ইচ্ছে করে
ক্রোশে-আক্রোশে আছড়ে ভেঙে ফেলি
এই আমাকে !
লেখক-পরিচিতি
সাংস্কৃতিক কর্মী, লেখক ও সংগঠক । প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ১টি
………………………………………………………………………………………………………………….
প্রিয়ার খোঁজে ||| আলী আজগর খোকন
পথ চলতে-চলতে হঠাৎ মনে হল অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছি,
আমি কি প্রেমের নেশায় বুদ হয়ে অনন্তকাল হেঁটে চলেছি!
কোথায় আমার গন্তব্য কেউ কি বলতে পারো?
কেউ কি আমার অপেক্ষায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছে বছর বারো?
আমার তো নেই কোনো পিছুটান
তবে কেন মগজে শুকনো নদীর ক্রন্দন
বসন্ত-বাতাসে পলাশ-কৃষ্ণচূড়ার এ কোন আহ্বান?
দক্ষিণা হাওয়ায় প্রকৃতির কোলে এ কোন নাচন?
দুরে কোথাও অজানা ভালবাসার প্রাঙ্গণ
তবে কি খুঁজে পেয়েছি আমার প্রিয়ার হৃদস্পন্দন?
লেখক-পরিচিতি
আলী আজগর খোকন ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারী ঢাকায় জন্মগ্রহণ
প্রথম সার্ক সাংস্কৃতিক উৎসবের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১১টি নৃত্যনাট্য ও প্রায় ১২০টি খন্ড নৃত্যের সঙ্গীত রচনা করেন। খোকন শিল্পকলা একাডেমীতে চাকুরীকালীন ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিদেশে সাংস্কৃতিক দল প্রেরণ ও বাংলাদেশে আগত বিদেশী সাংস্কৃতিক দলের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লিখছেন। তার লেখা কবিতা ও প্রবন্ধ বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। তার কবিতা স্থান পেয়েছে “শত কবির দ্রোহের কবিতা” কাব্যগ্রন্থে ।
………………………………………………………………………………………………………………….
সমাজ ||| অনিরুদ্ধ আলম
কে ওই দ্রাবিড় দেবদূতী সারাবেলা চোখের চৌকাঠে ঘুরেফিরে দাঁড়িয়ে থাকে?
কার মুখ জুলেখার কমনীয়তা বিলায়?
নমনীয় তৃষ্ণার ফসকা জালে ধরা দেয় না জল। লাবণ্য-ধনুকের ছিলাতে ভর ক’রে কারো ছলনাময় দৃষ্টির তীর করুক-না বিদ্ধ এই আমাকে। বিক্ষত হই গরল প্রশান্তিতে। তোমার আঙুলের ডগায় ঝুলে-থাকা বৃষ্টির ফুল বড়ো ভালবাসি। প্রার্থনা পেতে রাখি– আমার আঁজলাতে জমুক-না অমন কিছু আত্মবিশ্বাস।
মধুকূপী দিগন্তে ফুটে-থাকা টুকটুকে ঘাসফুলটাই কি একান্তে বেড়ে-ওঠা ঋতুহীন রঙদের আত্মসমালোচনা?
শীলভদ্রের কল্লোলিত লিপিতে ছেয়ে আছে তেমন প্রান্তরে কে রাখে মেলে ধ্যানের দুয়ার? নৌকোর গলুইয়ের মতো একটি গোলার্ধে তোমাকে নিয়ে সমাজ গড়ব জলপিপি আর পড়ন্ত দুপুরের পরামর্শে।
লেখক-পরিচিতি
অনিরুদ্ধ আলম (Anirudha Alam) মূলত একজন কবি। তিনি এ পর্যন্ত পঞ্চাশটিরও অধিক বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: সোনালি নৈঃশব্দ্যে হরিণাবলি (কবিতা), প্রেম কি কেবলি পাখিপ্রবণ (কবিতা), ভালবাসা প্রিয়তমাসু (কবিতা), অনেকটা পথ হাঁটতে হবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে (কিশোর কবিতা), ২৪ অক্টোবর ১৯৭১ (উপন্যাসিকা), এইসব রাতদিন (কিশোর কবিতা), দূরের ডাক (ছড়া-কবিতা), তারপর তারপর (ছড়া), সকলের জন্যে পরিবেশ পরিবেশের জন্যে সকলে (ছড়ানাটিকা), পিঁপড়ে (সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস), অপারেশন ক্যালপি বত্রিশ (সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস), এবং ক্রিনোর অপেক্ষায় (সায়েন্স ফিকশন), তেইশশত দুই সালের এক জানুয়ারি (ছোটো গল্প), দু’ শ’ বছরের সেরা বাংলা কিশোর গল্প (সম্পাদিত গল্পের সংকলন), তোমাদের জন্যে বাংলা বানান (শিশুকিশোরদের জন্যে বাংলা বানান সংক্রান্ত বই), আমাদের কালো মানিক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (জীবনী)।
………………………………………………………………………………………………………..
সোনার কাঠি রুপার কাঠি সাধ ||| সুলতানা শিরিন সাজি
সূর্যটা তোমাকে দেওয়ার পর, আর রোদ ওঠে নাই!
বৃষ্টি চোখে,দূরভাসী নদীর কিনারায়,খুঁজে ফিরি তাকে !
মনেহয়, অজস্র জীবন কেটে গেছে,
ঠোঁটের তিলের খুব কাছে,আদর রেখে!
কপালের লাল টিপ খুঁজে পেলে, তাকে দিও।
পাখিদের ভুলে যাওয়া চোখের কাছেই, ঘুরে ফেরে সে!
জানোতো,মনে রাখার খুব কাছেই ভুলে যাওয়া থাকে?
একটা কাছে আসা দিন,বুকের খুব কাছে বাতাবীলেবুর গন্ধ বিলায় রোজ!
একটা জীবন কেটে যায় যদি,যাক!
জীবনের অজস্র সোনার কাঠি, রুপার কাঠি সাধ,
বেহিসাবী স্বপ্নের মত শিয়রে চুপ ঘুমায়!
কখনো রঙিন,কখনো সাদা পৃষ্ঠায় আঁকা এক পা ওয়ালা বকের মতন।
লেখক- পরিচিতি
সুলতানা শিরীন সাজি’র জন্ম লালমনিরহাট এ।
প্রবাস জীবনে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের আয়োজনে। নিজে রবীন্দ্র সংগীত, আবৃত্তি এবং
বিভিন্ন অনুষ্ঠান এর আয়োজক এবং উপস্থাপনা করেন।
২০১৮ এর অটোয়া’র FOBANA তে
কনভেনর এর দ্বায়িত্ব পালন করেন।
শিরীন সাজির কবিতায় ভালোবাসা ছলকায়,এটা পাঠকদের অনুভূতি। নিজের লেখা
নিয়ে তার কথা হলো,জীবনের বেঁচে থাকা ভালোবাসাতেই মূর্ত হয়ে ওঠে।গভীর
অন্ধকারে ছোট্ট জোনাকীর দল যেমন পথ দেখায় পথিককে, ভালোবাসার
আলোতেই জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব বলে তার বিশ্বাস।
প্রকাশিত বইঃ এক জোছনায় তুমি আর আমি, কফির পেয়ালায় নিশুত রাত জাগে,
বিষণ্ণতায় একা ,অপ্রকাশিত চিঠি ,ভালোবাসার ফুলঝুরি এবং
রানুর আকাশ(যাপিত জীবনের গল্প)।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান