বীর উত্তম সি আর দত্ত – বাংলার গৌরব
ছড়িয়েছ প্রতি স্তরে – জীবনের সৌরভ।
হবিগঞ্জের মিরাশি’র – চক্রপাণি দত্ত
রাখে নাম পিতামাতা – শিশু কালে চিত্ত।
শিলংয়ে জন্ম নিয়ে – শুরু হলো জীবনের
খোঁজে পায় সবে তারা – পরশটা আগুনের।
লাবান হবিগঞ্জ আর – কলকাতা খুলনা
চার স্থানে করেছিলে – যতো পড়াশোনা।
পড়াশোনা করে শেষ – ঢুকেছিলে সেনাতে
ছিল ঝোঁক পাশাপাশি – বহুবিধ খেলাতে।
জেনারেল ছিলে তুমি – মহাবীর যোদ্ধা
পরাক্রমে বৃহস্পতি – সাহসী এক বোদ্ধা।
সেনা হয়ে একান্নতে – হাতে নিলে অস্ত্র
পয়ষট্টির যুদ্ধ কালে – ভারত সেনা ত্রস্ত।
একাত্তরে বজ্র কণ্ঠের – শুনে তুমি ডাক
সদল বলে নিজ জেলাতে – দিয়েছিলে হাঁক।
হবিগঞ্জের রশিদ পুরে – গড়ে প্রতিরোধ
করেছিলে পাক সেনাদের – প্রবল গতিরোধ।
রশিদ পুরের পরে হলো – মৌলভীবাজার ক্যাম্প
পাক সেনাদের মনোবল – হয়েছিল ড্যাম্প।
চার নম্বর সেক্টরের ছিলে – তুমি অধিপতি
দিয়েছিলে করতে পেরে – পাক সেনাদের ইতি।
যুদ্ধ করে বীরের বেশে – করলে স্বাধীন দেশ
কীর্তি তোমার আরো কতো – কাটলো না তো রেস।
স্বাধীন দেশে পদক পেলে – বীর উত্তম তুমি
সীমান্ত রক্ষী গড়েছিলে – মুক্ত রাখতে ভুমি।
তোমার হাতেই হয়েছিল – বিডিআর এর জনম
মহাপরিচালক ছিলে তুমি – এ বাহিনীর প্রথম।
চুরাশিতে সেনা থেকে – অবসরে গিয়ে
ভাবনা তোমার মাথায় এলো – সমাজটাকে নিয়ে।
আমার দেশে লুপ্ত হলে – মৌলিক অধিকার
সংখ্যা লঘুর ঐক্য গড়ে – দিয়েছিলে হুংকার।
শুভ চিন্তার মানুষ যাঁরা – ছিলেন আমার দেশে
সবাই তারা গিয়েছিলেন – তোমার সাথে মিশে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় – পঁচিশ আগষ্ট প্রয়াণ
তোমার দেশটি দিলো তোমায় – রাষ্ট্রীয় সম্মান।
০১/০৯/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।