বৈরুতে হিরোশিমা । ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে ৫ বাংলাদেশি, নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত
গ্রীষ্মের পড়ন্ত অলস বিকাল। টুকরো টুকরো মেঘের খণ্ডের পেছন থেকে উঁকি দিচ্ছে বৈরুতের স্বচ্ছ নীল আকাশ। মঙ্গলবারের এমন বিকালে শহরের বন্দর এলাকার এক অংশ থেকে বিশাল আকারে ধোঁয়া উড়ছে। আচমকা সে ধোঁয়ার মাঝখান থেকে গর্জে উঠে আগ্রাসী, ভয়াল আগুন। চোখের পলক ফেলার আগেই কেঁপে উঠে পুরো শহর। শত শত ভবনের দরজা, জানালা, বারান্দা ভেঙে চুরমার। শান্ত, অলস বৈরুতের বিকালে নেমে আসে অবর্ণনীয় শোকের বাতাস। বন্দরের উপরের নীল আকাশ ঢেকে যায় বিষাক্ত কালো-কমলা-ধূসর ধোঁয়া আর গ্যাসে।
কী ঘটেছে তা বুঝে উঠতে সময় লাগে কিছুক্ষণ। প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের ভিডিও দেখে অনেকে এর সঙ্গে পারমাণবিক বিস্ফোরণের তুলনা করেছেন। যেন হিরোশিমায় আঘাত হানা ভয়াল সেই বোমা এবার বৈরুতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিস্ফোরণটির ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বোঝার জন্য গৃহহারাদের সংখ্যাই যথেষ্ট। বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আব্বুদ জানান, বিস্ফোরণটির প্রভাবে বাড়ি হারিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, ছয় বছর ধরে বন্দরের এক গুদাম ঘরে পড়ে থাকা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট বিস্ফোরিত হয়েছে। মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণের মাত্রা এতোই তীব্র ছিল যে, এর প্রভাবে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্প। ২৪০ কিলোমিটার দূরের সাইপ্রাসেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বিপর্যয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিন বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্য। মোট আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ হাজার।
জানা যায়, এদিন বৈরুতের বন্দরে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রথমে ছোট আকারের বিস্ফোরণের পরই ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এর অন্তত ১৫ মিনিট পর আকাশ কাঁপিয়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ আঘাত হানে। বিস্ফোরণের পরের দৃশ্য কেবলই বিভীষিকাময়। ঘটনাস্থলের আশপাশে সব সমান হয়ে যায়। হাইওয়েগুলো ভরে গেছে ভাঙা ইট আর পাথর দিয়ে।
শহরের বাসিন্দা পাতিল স্থানীয় গণমাধ্যম লরিয়েন্ট লেজৌরকে জানান, তিনি শহরের কোয়ারেন্টিন এলাকায় বাস করেন। তিনি বলেন, ১৫ মিনিট ধরে আমরা বৈরুতের বন্দর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছি, এরপর বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনি। আমি বাথরুমে গিয়ে লুকাই। আচমকা সব জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। অপর এক বাসিন্দা রানা বলেন, ঠিক যেন কোনো ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। বিস্ফোরণের সময় বৈরুতের বাইরে ছিলেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের সহযোগী প্রফেসর নাসের ইয়াসিন। তিনি বলেন, বৈরুতের বাইরে থাকলেও মনে হচ্ছিল পাশেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। চারপাশ তখন কেঁপে কেঁপে উঠছিল। এ বিস্ফোরণ ছিল ভয়াবহ। আমার জীবনে এমন বিস্ফোরণ কখনো দেখিনি। আমি লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যে বড় হয়েছি, ইসরাইলের আগ্রাসন দেখেছি। কিন্তু এত বড় বিস্ফোরণ আমার জীবনে কখনো ঘটেনি। এখনো আমরা জানি না, কী ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের পরের চিত্র বর্ণনা করে বলা হয়, পুরো বন্দর গ্রাস করে ফেলে আগুন। সমুদ্রে থাকা জাহাজগুলোও পুড়তে দেখা যায়, ভবনগুলোয় ফাটল দেখা যায়। একদম পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরবর্তী দৃশ্য যেন। সেনারা তাৎক্ষণিকভাবে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। বাতাস তখন বিস্ফোরিত হওয়া অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইটে ভারী হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কাঁদতে থাকা এক নারী সেনাদের দিকে চিৎকার করে তার ভাইয়ের খোঁজ জানতে চাইছিল। তার ভাই ওই বন্দরে কাজ করতো। তিনি বলেন, ‘তার নাম জাদ। তার চোখগুলো সবুজ।’
মঙ্গলবার সারারাত ধরে বৈরুতজুড়ে বাজতে থাকে এম্বুলেন্সের সাইরেন। কোথাও কোথাও কোনো লাগেজের পাশে পড়ে ছিল অচেনা কোনো মানুষের লাশ। এ রাতে বৈরুত ঘুমায়নি। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে- ১০, ২৫, ৩০, ৫০ করে। বুধবার শতাধিক মৃত্যুর ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান হামাদ। এ সংখ্যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ এখনো শেষ হয়নি। হাসপাতালগুলোয় জায়গা সংকুলান হয়নি রাত থেকেই।
লেবাননের অর্থনৈতিক সংকটে ইতিমধ্যেই নড়বড়ে হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল ব্যবস্থা। এর মধ্যে বিস্ফোরণে হতাহতদের চিকিৎসা দেয়ার সামর্থ্য হারিয়েছে অনেক হাসপাতালই। বহু হাসপাতাল মঙ্গলবারই ঘোষণা দেয় যে, তারা পূর্ণ সক্ষমতায় আহতদের চিকিৎসা দিতে পারছে না। কিছু হাসপাতাল বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। এমন একটি হাসপাতাল হচ্ছে আচরাফিয়েহ’র সেইন্ট জর্জ হাসপাতাল। বিস্ফোরণে ভবনটির কাঠামো ছাড়া বাকি সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। ভবনের ভেতরেই মারা গেছেন চার নার্সসহ মোট ১৩ জন। সকল রোগীকে নিকটবর্তী অন্য একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সংকটের মুখে এ দুর্যোগে লেবাননকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, কাজাকিস্তান, ইরান, এমনকি ইসরাইলও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রেডক্রস, ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স সহ অসংখ্য দাতব্য সংস্থা উদ্ধার ও চিকিৎসা কাজে নেমেছে। লেবাননে রেডক্রসের প্রধান জর্জ কেত্তানি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, এটি একটি ‘হিউজ ক্যাটাস্ট্রোফি’ বা ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’। সব স্থানেই মানুষ মারা গেছেন। সর্বত্রই হতাহত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে অব্যাহতভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, বিস্ফোরণের শিকারদেরস্মরণে বুধবার একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে লেবাননে। মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রেসিডেন্ট মিশেল আওন। সেখান থেকে দু’সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া, জরুরি তহবিল থেকে ১০ হাজার কোটি লিরা বা প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার অবমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে মঙ্গলবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা জল্পনা চলছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। অনেকে ইসরাইলের দিকেও আঙুল তুলেছেন। তবে ইসরাইল এ বিস্ফোরণে কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে জানিয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর এক সদস্যও ইসরাইলের জড়িত থাকার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রসঙ্গত, হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার, আগামী শুক্রবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যা মামলায় চার আসামিকে নিয়ে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে জাতিসংঘের একটি ট্রাইব্যুনালের। অভিযুক্ত চার আসামির প্রত্যেকেই হিজবুল্লাহর সদস্য।
তবে মঙ্গলবার কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর জন্য দায়ীদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের সুপ্রিম ডিফেন্স কাউন্সিল। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অনুমান, তা ২০১৩ সাল পর্যন্ত বন্দরে একটি জাহাজে আনলোডের অপেক্ষায় ছিল। সেখান থেকে তা সরিয়ে নিয়ে একটি গুদামে রাখা হয়। সেখানেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে মঙ্গলবার।
লেবাননের ইতিহাসে ৪ঠা আগস্ট কালোদিন হিসেবে খচিত থাকবে। বৈরুত ও বিশ্ববাসীর মনে মর্মান্তিক এক ঘটনা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে মঙ্গলবারের বিস্ফোরণ। অর্থনৈতিকভাবে নড়বড়ে হয়ে পড়া দেশটির জন্য এই ধ্বংসযজ্ঞ জীবনযাপন আরো কঠিন করে তুলবে। অনেকে হয়তো আর কোনোদিন সুস্থ হবেন না। অনেকে চিরতরে তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। কালের পরিক্রমায় বৈরুত আবার আগের রূপে হয়তো ফিরে আসবে, তবে বিদ্যমান শোক সে আশায় কমছে না। অনেকটা এমন শোকার্ত মন নিয়েই হয়তো প্যাট্রিশিয়া খোদের লরিয়েন্ট লেজৌরে লিখেছিলেন, ‘কাল যখন সূর্য উঠবে, বৈরুত, আমার শহর আর থাকবে না। মঙ্গলবার রাতে শহরজুড়ে আমরা কেবল এম্বুলেন্স আর ভাঙা কাঁচের আওয়াজই শুনতে পেয়েছি। অচেনা এক পুরুষের মোটরবাইকে বসে ভাঙা কাঁচ থেকে চোখগুলো রক্ষা করতে সেগুলোকে বন্ধ করে রেখেছিলাম। আমার শহর আর নেই।’
নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ২১ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়-এ দায়িত্বরত ছিলেন। নৌ বাহিনী জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টার (এইউবিএমসি)-এ ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ইউনিফিলের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার ও এম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত। শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহত নৌ সদস্যদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়-এর বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নৌবাহিনী জাহাজ, ইউনিফিল সদর দপ্তর ও বৈরুতস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউনিফিল হেড অব মিশন এবং ফোর্স কমান্ডার ও মেরিটাইম টাস্কফোর্স কমান্ডার সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, ঘটনার পরই বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মোস্তাহিদুর রহমান সরজমিনে বানৌজা বিজয় পরিদর্শন করেন এবং আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর ও যথাযথ চিকিৎসা প্রদানে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা করেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূমধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ ইউনিফিলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজটি লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানিজ জলসীমায় ওই জাহাজ মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজকে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌ সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে।
৫ বাংলাদেশি নিহত
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল তৃতীয় ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে নিহতের নাম, ঠিকানা বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। এর আগে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দু’জন বাংলাদেশির পরিচয়ের তথ্য প্রচার করা হয়েছিল। বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পলিটিক্যাল উইংয়ের থার্ড সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল শাফি মানবজমিনকে বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশি মারা যাওয়ার বিষয়টি দূতাবাস নিশ্চিত করেছে। তবে তৃতীয়জনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। আগে মারা যাওয়া দু’জনের পরিচয় মিলেছে। একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদি হাসান, অন্যজন মাদারীপুরের মিজান। দু’জনই এখানে বৈধভাবে কাজ করছিলেন। এ ছাড়া বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে দূতাবাস জানতে পেরেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। -মানবজমিন থেকে
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন