বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী

অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধু বাঙালির একান্ত আপনজন


হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু । রক্ত ঝরা, অশ্রু ঝরা আগস্ট ।  অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধু বাঙালির একান্ত আপনজন । ।।। এম আবদুস সোবহান

এম আবদুস সোবহান ।। নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত বাঙালি জাতির জন্য আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে হয়ে উঠেছিলেন তাদের অবিসংবাদিত ও আত্মত্যাগী নেতা; বাঙালির হাজার বছরের গৌরবময় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ; স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি; বাঙালি জাতির মুক্তির কাণ্ডারি, সুখ ও সমৃদ্ধিময় পথের দিশারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিকামী-স্বাধীনতাকামী-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী চরিত্রের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বিশ্ব মহলে ছিল প্রশংসিত, তাই তো যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ উইক পত্রিকার শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে অভিহিত করা হয় ‘রাজনীতির কবি’।

অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধু বাঙালির একান্ত আপনজন । বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবতা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মুগ্ধ ব্রিটেনের মানবতাবাদী আন্দোলনের নেতা লর্ড ফেনার ব্রোকওয়ে বঙ্গবন্ধুকে জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী, দ্য ভ্যালেরার চেয়েও বড় করে দেখেছেন। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।’

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গুণ ছিল অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী চেতনা এবং মানুষকে আপন করে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা। তার অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী মানস গঠনে পিতার অবদান ছিল অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধুর পিতা চেয়েছিলেন তার সুযোগ্য সন্তান যেন ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে সব বাঙালির মুক্তির কাণ্ডারি হয়ে ওঠে।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধু পিতার কথা লিখেছেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, ‘Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবা না।’

বঙ্গবন্ধু সে কথা কোনোদিন ভোলেননি (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-২১)। পিতা প্রদত্ত মানুষ হওয়ার দৃঢ় নির্দেশকে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনের আদর্শ মেনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সবার প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।

পিতার কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞানকে রাজনৈতিক জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ এবং তার দেখানো ন্যায় ও সত্যের পথে লড়াই করে ‘শেখ মুজিব’ হতে পেরেছিলেন দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের ‘বঙ্গবন্ধু’। এছাড়াও তৎকালীন মুসলিম লীগের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে দুটি ধারা গড়ে উঠেছিল- প্রগতিবাদী আর প্রতিক্রিয়াশীল।

প্রগতিবাদী বা প্রগতিশীল দলে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। বঙ্গবন্ধু তার ছাত্রজীবনের রাজনীতিতে সব সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রগতিবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শের ছায়ায় থাকতেন এবং তাকে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মান্য করতেন। সেক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ছাত্র রাজনীতিতে তার মানস্পটে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার বীজ অঙ্কুরিত হয়।

১৯৪৮ সালের দিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কায়েম রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সভা করে বেড়াতেন। এ সময় পরিবেশ এমন উত্তাল ছিল যে, যে কোনো সময় হামলা হতে পারত। সোহরাওয়ার্দী শেখ মুজিবকে বললেন- ‘তোমার উপরও অত্যাচার আসছে। এরা পাগল হয়ে গেছে।

শাসন যদি এইভাবে চলে বলা যায় না কি হবে! আমি বললাম, স্যার, চিন্তা করবেন না, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার শক্তি খোদা আমাকে দিয়েছেন। আর সে শিক্ষা আপনার কাছ থেকেই পেয়েছি’ (পৃষ্ঠা-১০৯)।

শেখ মুজিব ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের ছাত্র। মন্ত্রীরা (মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হক ও শ্রমমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী) আসবেন স্কুল পরিদর্শনে। মন্ত্রীদ্বয়ের অভ্যর্থনা ও আমন্ত্রণের দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর ওপর অর্পিত হয়। এ সময় ছাত্ররা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ছাত্র সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে।

তবে কংগ্রেস কখনও চায়নি এই সভা সফলভাবে সম্পন্ন হোক, তাই এই রাজনৈতিক সংগঠনটি হিন্দু ছাত্রদের প্ররোচিত করতে থাকে যেন হিন্দু ছাত্ররা এখানে অংশগ্রহণ না করে। তার এক হিন্দু বন্ধু জানালেন, কংগ্রেস থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আমি এ খবর শুনে আশ্চর্য হলাম।

কারণ, আমার কাছে তখন হিন্দু-মুসলমান বলে কোনো জিনিস ছিল না’ (পৃষ্ঠা-১১)। আর এটাই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা, তিনি হিন্দু-মুসলিম কাউকে আলাদা করে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখেছেন।

বঙ্গবন্ধু কখনও নিজের জীবনের কথা ভাবনেনি। নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন বাংলার সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য। শত ঝড়-ঝঞ্ঝা-বিপদ উপেক্ষা করে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মুক্তির কাণ্ডারি হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছেন, বুক পেতে আগলে রেখেছেন সন্তানের মতো। বঙ্গবন্ধু আপামর জনসাধারণের জন্য যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা বাংলার রাজনীতিতে বিরল।

নিজের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো জলাঞ্জলি দিয়েছেন, লড়াই-সংগ্রাম ও প্রতিবাদ করেছেন বাংলার মানুষের জন্য। দাঙ্গা-পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণকাজ সমাপ্ত করে কলকাতায় ফিরে আসেন। ইতোমধ্যে তার বিএ পরীক্ষার টেস্ট হয়ে গেছে। অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুকে ডেকে বললেন, ‘তুমি যথেষ্ট কাজ করেছ পাকিস্তান অর্জন করার জন্য। তোমাকে আমি বাধা দিতে চাই না। তুমি যদি ওয়াদা করো যে, এই কয়েক মাস লেখাপড়া করবা এবং কলকাতা ছেড়ে বাইরে কোথাও চলে যাবা এবং ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বেই এসে পরীক্ষা দিবা, তাহলে তোমাকে আমি অনুমতি দেব’ (পৃষ্ঠা-১১)।

এটি এদেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের একটি ছোট উদাহরণ মাত্র। তিনি তার পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না, তিনি ব্যস্ত ছিলেন এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও তাদের মুক্তির জন্য। তিনি সব সম্প্রদায়ের জন্য একটি বাসযোগ্য সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখতেন।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এদেশের জনগণ, বিশেষ কোনো গোষ্ঠী নয়। এদেশের জনগণের অধিকার আদায়, বৈষম্য সরিয়ে সাম্য প্রতিষ্ঠা, মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতার শিকড় উপড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক জাতি গঠন ছিল বঙ্গবন্ধুর লড়াই ও সংগ্রামী রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-আদিবাসীসহ সব মানুষকে তিনি নিজ ভাই জ্ঞানে দেখেছেন; কোনো ভেদাভেদ রাখেননি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাদের প্রচলিত ভাষায় কথা বলতেন এবং কোনো সভা-সেমিনারে ভাষণের শুরুতেই উপস্থিত সবাইকেই ‘ভায়েরা আমার’ বলে সম্বোধন করতেন (মোনায়েম সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : জীবন ও রাজনীতি ১ম খণ্ড, পৃ. ৪২২)।

ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাতের ঊর্ধ্বে সব মানুষকে মনপ্রাণ উজাড় করে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও মানবতার বড় দৃষ্টান্ত। ‘ভাই’ সম্বোধন দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে নয়, এদেশের ধনী ও গরিব, ব্রাত্যজন এবং দেশে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে বুঝিয়েছেন। এই মানসিকতা ও বোধ বঙ্গবন্ধুর মগজে-মস্তিষ্কে ও শিরায়-শিরায় প্রবাহিত ছিল।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিজয় অর্জন করে। বাংলার জনগণ পায় শৃঙ্খলমুক্তি ও স্বাধীনতার স্বাদ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হবে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ কোনো ধর্মীয় কাঠামো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে না।

গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি’ (রামেন্দু মজুমদার, অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক বঙ্গবন্ধু, দৈনিক ইত্তেফাক, বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮)। রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রণীত প্রথম সংবিধানে দেশের জাতীয় মূলনীতির স্বরূপ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাকেও যুক্ত করা হয়েছিল।

শেখ মুজিব সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন ধার্মিক। তবে সাম্প্রদায়িকতাকে তিনি বর্জন করেছিলেন। কারণ যিনি প্রকৃত ধার্মিক তিনি কখনও সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না। ইসলাম ধর্ম এই শিক্ষা দেয় না। অন্য ধর্ম ও মানুষের প্রতি সহনশীলতা ও ভালোবাসা ধার্মিকের বড় গুণ।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে, কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। ২৫ বছর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেঈমানী, ধর্মের নামে অত্যাচার, খুন-ব্যভিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস।

পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না’ (বজ্রকণ্ঠ ১ম খণ্ড, বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত পাঁচটি ভাষণ, মো. ইউসুফ আলী ফাউন্ডেশন, ২০০৯, পৃ. ১৫)। তিনি পবিত্র ধর্মকে সব সময় রাজনীতির বাইরে রাখতে চেয়েছেন। কারণ, ধর্ম রাজনীতির জন্য নয়, ধর্ম হল মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব রকম ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধত্ব ও কূপমণ্ডূকতামুক্ত ছিলেন। তিনি পরহেজগার পিতা-মাতার সন্তান ছিলেন এবং তিনি নিজেও ছিলেন ধার্মিক। কিন্তু ধর্ম বা সম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন না।

তিনি ছিলেন সব সম্প্রদায়ের মানুষের এক মহান বন্ধু। ধর্মীয় সংকীর্ণতা যেমন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি, তেমনি তিনি তার রাজনৈতিক জীবনেও কখনও ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে প্রশ্রয় দেননি। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাঝে, বয়স বা আয়ুর মধ্যে নয়। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে কর্ম দ্বারা।

পবিত্র কুরআনুল কারিমে সূরা মূল্ক্-এর ২নং আয়াতে আল্লাহ্পাক বলেন- ‘আমি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছি তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম তা পরীক্ষা করার জন্য।’

বঙ্গবন্ধু তার ৫৫ বছরের জীবনে বাঙালি জাতিকে নিজ সত্তায় ধারণ করে যা অর্জন করেছেন- এখানেই তার শ্রেষ্ঠত্ব, যা কোনোদিন কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। আর এই কারণে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। মুজিববর্ষে তাকে জানাই সশ্রদ্ধ শতকোটি সালাম। বাঙালি জাতি কোনোদিন তার ঋণ শোধ করতে পারবে না।

এম আবদুস সোবহান : উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  (অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধু বাঙালির একান্ত আপনজন )

 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন