রাজু দেশোয়ারা’র লেখা “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প” | পিকলু প্রিয়
রাজু দেশোয়ারা’র লেখা “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প” | পিকলু প্রিয়
বাংলাদেশের যত ধরণের শিল্প রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শিল্প হচ্ছে চা। উনিশ শতকের শুরুতে বাংলাদেশের চা শিল্পের বিকাশ ঘটে।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর চা বাগানে বেড়ে উঠা পিতা শ্রীজনম দেশোয়ারা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃীতপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মা শ্রীমতি ফুলবাসিয়া দেশোয়ারা।
রাজু দেশোয়ারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। শৈশব ও কৈশোর চা বাগানে কাটানোর ফলে নাড়ীর টানে তিনি চা বাগান ও চা শ্রমিকদের যাপিত জীবন নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করতেন এবং তিনি মন থেকে উপলব্ধি করতেন চা-শ্রমিকদের অগুনিত কষ্ট যা তাঁর ভিতরকে নাড়িয়ে দিতো। সেই সুবাদে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা পান ৷
রাজু দেশোয়ারা’র লেখা “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয় সম্প্রতি, ২০২০। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, বিশেষ অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ.বি.এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার জীবন, তাপস কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি।
উল্লেখ্য, রাজু দেশোয়ারা ছাত্র রাজনীতি, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিসহ সমাজ সেবায় নিয়োজিত থাকেন। মুঠোফোনে রাজু দেশোয়ারা’র সাথে আলাপ কালে জানা যায় উনার বইয়ে বিক্রির রয়্যালটি বাবদ প্রাপ্ত সকল অর্থ তিনি চা শ্রমিক সন্তানদের লেখাপড়ার কাজে ব্যয় করবেন।
এছাড়া তিনি পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন আমি নিজে একজন চা-শ্রমিক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শৈশব ও কৈশোর বাগানেই কেটেছে। খুব কাছ থেকে দেখেছি চা-শ্রমিক’রা কিভাবে তপ্ত রোদ্দুরে ও কাক ভেজা হয়ে কাজ করে যায়। সেই তুলনায় তাঁদের জীবন মান খুবই নিম্ন। আমি আমার এই বইয়ে বাংলাদেশের চা-শিল্প, চা-শ্রমিক ও সাথে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার প্রচেষ্টা করেছি। প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার একটি তুলনামূলক আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি পাঠকরা নতুন করে অনেক কিছু জানতে পারবেন। পাঠকরা যদি বইটি পড়ে চা শ্রমিকদের নিয়ে জানার আগ্রহ জন্মে তা হলে আমার এই পরিশ্রমটুকু স্বার্থক হবে।