ডিসেম্বরে উত্তাল সম্মুখযুদ্ধের মুক্তিবাহিনী যখন ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যৌথ আক্রমণে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের সীমানার বাইরে চলছিল আরেক যুদ্ধ। বাংলাদেশের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির মধ্যে যুদ্ধ চলছিল জাতিসংঘে। টানটান উত্তেজনার এ যুদ্ধের জয়-পরাজয়ের ছিল বিশাল প্রভাব।একাত্তরের কূটনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ অনুসারে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন হয় ৪ ডিসেম্বর। পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিন প্রতিনিধি সিনিয়র জর্জ বুশ প্রস্তাব তোলেন। প্রস্তাবে দাবি করা হয়, এ মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানকে নিজ নিজ সীমান্তের ভিতরে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্যই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্য থেকে বঞ্চিত করা। নিউইয়র্কে শুরু হয় বৈঠকের পর বৈঠক। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত কী আসে তা নিয়ে চারদিকে টেনশন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অভ্যুদয়বিরোধী গণচীনও সে সময় দারুণ তৎপর।চীনের অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চি পেং ফেই এদিন পাকিস্তানের ওপর ভারতীয় হামলার নিন্দা করে ইসলামাবাদকে দৃঢ় সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। অবশেষে খবর এলো, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে পাস হতে পারেনি। সমাজতান্ত্রিক দেশ পোল্যান্ডও বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। কিন্তু প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের কাছে সবচেয়ে স্বস্তি হয়ে এলো ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের ভোটদানে বিরত থাকাটা। নিরাপত্তা পরিষদে হেরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। প্রস্তাবটি সেখানে পাসও করাতে সক্ষম হয় তারা। কিন্তু সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব মানার বাধ্যবাধকতা না থাকায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ড কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করতে থাকে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে লিখিত চিঠি দেন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। চিঠিতে লেখা হয়, ভারত সরকার অবিলম্বে আমাদের দেশ ও সরকারকে স্বীকৃতি দান করুক। স্বীকৃতি ও যুদ্ধবিরতির এ পাল্টাপাল্টির মাঝে যুদ্ধ চলতে থাকে তার আপন গতিতে। একপর্যায়ে দিশাহারা পাকিস্তানি সেনারা জান নিয়ে পালাতে আত্মসমর্পণ করে। রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদরবারে একে একে স্বীকৃতি আসে বাংলাদেশের। -বিডি প্রতিদিন
#বিলেতে কমলগঞ্জের শতজন # মুক্তিযোদ্ধা এম এ রহিম : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করেছেন যিনি আর দশজন মানুষের মতো তিনিও একজন মানুষ,তারপরও তিনি অন্যদের চেয়ে অনন্য ; আলাদা এবং ব্যতিক্রমী। দেশ মাতৃকার প্রতি অসীম মমত্ববোধ,শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদী সোচ্চার কন্ঠ এবং অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আপোষহীন অবিচলতা তাঁকে দিয়েছে পুরোপুরি স্বাতন্ত্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে […]
ফরাসি আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অপ্রকাশিত ছবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণবয়ন্তী উপলক্ষে ফরাসি ফটোসাংবাদিক অ্যান ডি হেনিংয়ের ক্যামেরায় ১৯৭১-৭২ সালে তোলা দুর্লভ ও অপ্রকাশিত কিছু ছবি নিয়ে প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে ঢাকায়। ফরাসি এই ফটোসংবাদিক অ্যান ডি হেনিং প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন ১৯৭১ সালে। ২৬ বছর বয়সের হেনিং তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের […]