চার থেকে পাঁচশ গুলিবর্ষণ পুলিশের
সন্ত্রাসীরা থানার আশেপাশে, এজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছি
বান্দরবানের দুই উপজেলায় ২ ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা ও অপহরণের পর থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সন্ত্রাসীরা থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। সাড়ে নয়টা পর্যন্ত গোলাগুলি হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’
কতটি গুলিবর্ষণ হয়েছে এ প্রসঙ্গে জসীম উদ্দীন বলেন, এখনো গণনা করা হয়নি। তবে ৪০০ থেকে ৫০০টি হবে।
তবে কারা গুলি চালিয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট এখনও কিছু জানায়নি।
এর আগে রাত সাড়ে নয়টায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা গণমাধ্যমকে জানান, থানচি থানার দক্ষিণ-পূর্ব পাশের পাহাড় থেকে কে বা কারা গুলি ছুড়তে থাকে। এরপর থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়েন। থানায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা ভালো আছেন। কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে থানা লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে।’
এ কেএনএফ গোলাগুলিতে জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন সন্দেহ করছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে এবং তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা লুট করার চেষ্টা করে। পরে তারা টাকা লুট করতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে দুর্গম পাহাড়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিনের মাথায় নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: সময়ের আলো
CBNA24 রকমারি সংবাদের সমাহার দেখতে হলে
আমাদের ফেসবুক পেজে ভিজিট করতে ক্লিক করুন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে পোস্ট করুন।