সিলেটে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে এসে স্কুলছাত্রকে বলাৎকার
সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ মজুমদারপাড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছেন মাদ্রাসার এক শিক্ষক। সিলেটে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে এসে স্কুলছাত্রকে বলাৎকার করা হৃদয় মিয়া (২০) নামের ওই শিক্ষক শহরতলীর বালুচর শায়খুল ইসলাম মাদ্রসায় পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষকতাও করতেন বলে জানা গেছে।
প্রাইভেট পড়াতে এসে তিনি মজুমদার পাড়ায় ওই ছাত্রকে বলাৎকার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মজুমদারপাড়া পোস্টাল কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। বলাৎকারের শিকার নগরীর রাজা জিসি হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
স্কুলছাত্রের পরিবারের বরাত দিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ জানান, হৃদয় মিয়া মজুমদারপাড়ার পোস্টাল কলোনির কয়েকটি বাসায় বাচ্চাদের ধর্মীয় শিক্ষা (আরবি পড়াতেন) দিতেন। মঙ্গলবার ওই কলোনির বাসিন্দা রাজা জিসি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে পড়াতে এসে বলাৎকার করেন। পরে শিশুটি পুরো ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। শিশুটিকে বলাৎকারের পর হৃদয় মিয়া ওই বাসার তিনতলায় আরেক ছাত্রীকে কোরআন শরিফ পড়াতে যান। পরে সেখান থেকে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতিতে বলাৎকারের বিষয়টি হৃদয় মিয়া স্বীকার করেছে বলেও জানান কাউন্সিলর আজাদ।
শাহ্পরাণ থানার ওসি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী জানান, বলাৎকারের ঘটনায় একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ফাঁকা ঘরে ধর্ষণচেষ্টা, সিলেটে অল্পের জন্য রক্ষা পেল শিশু
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটসহ সারাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। নির্যাতন থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশু থেকে শুরু করে পাঁচ সন্তানের জননীও। এরকম পাশবিক নির্যাতনের শিকার থেকে ভাগ্যক্রমে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাত বছরের এক শিশু। ফাঁকা ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল তারই প্রতিবেশী এক কিশোর। কিন্তু পাশের ঘরে এক নারী চলে আসায় রক্ষা পেয়ে যায় সে। অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক কিশোর হৃদয় আহমদ (১৪) কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ইউনিয়নের চাতলপাড় গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, গত রবিবার সকালে দেড় বছরের শিশুসন্তানের চিকিৎসার জন্য চাতলপাড় গ্রামের এক দম্পতি গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যান। তখন বাড়িতে তাদের সাত বছরের মেয়ে একা ছিল। সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশী হৃদয় আহমদ ফাঁকা ঘরে ওই শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ভাগ্যক্রমে ওই সময় পাশের ঘরের এক নারী এসে ঘটনাটি দেখতে পেলে হৃদয় পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাত ১১টার দিকে হৃদয়কে আটক করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন