জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আব্দুল হান্নান রতনের বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেন বিএফআইইউ কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন তারা। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের পাশাপাশি মানি লন্ডারিং ও অর্থ পাচার প্রতিরোধবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এগমন্ড গ্রুপের সদস্য দেশ হিসেবে কানাডার অর্থ পাচার প্রতিরোধবিষয়ক সংস্থার কাছে রতনের কানাডায় সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অটোয়ায় ১৭ মার্চকে বঙ্গবন্ধু দিবস ঘোষণা
বিএফআইইউ থেকে সব ব্যাংকের এমডি বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো শাখায় আব্দুল হান্নান রতন এবং তার স্বার্থসংশ্নিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হলে আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের আদেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত হিসাব খোলার ফরম, লেনদেন বিবরণী ও হিসাব পরিচালনার তথ্য বিস্তারিত জানাতে হবে। চিঠিতে রতনের ঢাকার দুটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ১৩/এ নম্বর বাড়ি এবং গুলশানে ১২১ নম্বর সড়কের ৩০ নম্বর বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বেড়তলার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যবসার কথা বলে আব্দুল হান্নান রতন ১৯৯৯ সালে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় থেকে চার কোটি ১২ লাখ টাকা ঋণ নেন। এর খুব সামান্য অংশ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিকে একটি কারখানা নির্মাণ করেন। পরে ২০০১ সালে চলতি মূলধন ঋণ নেন আরও তিন কোটি টাকা। এ টাকা হাতে আসার কিছুদিন পর ২০০২ সালে বিসিকের ওই কারখানায় রহস্যজনক আগুন লাগে। সোনালী ব্যাংকের এক তদন্তে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ সত্যি নয়। পরে ২০০৭ সালে নিজের শাশুড়ি ও মামাকে ভাইবোন দেখিয়ে নিউ শ্রাবণ এগ্রো ফুড খুলে বেনামি ঋণ নেন আরও ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। পাচারের টাকায় কানাডার টরন্টোতে ২০১৭ সালে তিনটি বাড়ি ও একটি রেস্তোরাঁর মালিক হয়েছেন।