মৃত্যুঞ্জয় হালদার-এর একগুচ্ছ কবিতা
—————————————————————-
একরোখা দিন রেখে যায় ঋণ
কত ক্ষত মন মৈনাকে
নিরাশার নৈশলোকে
যন্ত্রণার যাঁতাকলে কামনারা মৃত বলে
বিক্ষিপ্ত বিলাপ বিপুল
বিপর্যস্ত বিষন্ন বকুল
অকাতরে ঝরে পড়ে পৌষালী জলে।
আকছার অনাচার আনাচে-কনাচে
শীত আসমানে মেঘ
স্তব্ধ বাতাসের বেগ
বলে যায় বৃষ্টির পূর্বাভাস।
…………………………………….. ✍️
জ্বলতে জ্বলতে এ জীবন একদিন নিভে যাবে জানি
তবুও কত কষ্টের কষ্টিপাথরে এ ঘর খানি
পরিপাটি গোছগাছ আসবাব প্রসাধনে
অনন্ত চাহিদার আশমানে একটু শান্তি নাই মনে।
ভালো আর ভালোর ভবিতব্যে মশগুল সবাই
সকাল থেকেই ছুট ছুট যন্ত্রণায় জীবন জবাই।
আহারে বাহারে প্রাণ দু দিনের দুনিয়ায়
মান অভিমান ভুলে নেচে-গেয়ে ভেসে যায়।
………………………….. ✍️
নষ্ট রাতের নষ্ট ভাবনা যত
দিনের আলোয় মিথ্যে সেসব শত
এই সংসার সত্য সনাতনে
এই আজীবন দুঃখ দহন দেহে
ফুটল না ফুল উঠল না মন গেয়ে
মা ও মাটি হারিয়ে ছন্নছাড়া
তবুও ছন্দে গড়ছি আমার পাড়া।
ভুল বোঝা সব ভুলভুলাইয়া পথে
আপন ভেবে কেউ এলো না কাছে
মরে বাঁচার এইযে চোরাস্রোতে
জীবন নদী যখন যেমন নাচে।
……………………………………. ✍️
অনেক অভিমানে অভিষপ্ত রাত
আজ আঘাতে আহ্লাদে
বেহিসাবি বিষ নিসপিস হাত
প্রাণ পাবে পুরাতনী প্রাসাদে।
অসহ্য অহমিকায় অভিলাষ
যত, তছনছ জীবনের অংকে
ভয় ভাবনা ভুলে পরবাস
বেঁচে আছি ত্রাসে ও সন্ত্রাসে!
আশা আজ নিরাশায় নিশি
চিন্তার চিতার অনলে পুড়ে
পরশপাথর ফিরছি খুঁজে একা
কী ভীষণ আজীবন জুড়ে!
……………………………………… ✍️
শরীরটা আজ জুতসই ঠেকছে না
তবুও তুফান এলে সামলে দেওয়ার মত
কিছু মিলে যাবে জঙ্গলে
এখন ভাটার টানে অবলুপ্ত সব
জ্বালাময় সময় অসহ্য অঙ্গে অসহিষ্ণুতার ছাপ
ইচ্ছেরা অনিচ্ছার অমাবস্যার আঁধারে ঋতুমতী হয়!
……………………………………………………. ✍️