ভালবেসে গোপনে বহুদিন একেলা
একদিন ঝড় হয়ে চলে গেছো
আমি সেই ঘর
গুছায়ে তবু রাখিব সেজে ।
আবার যদি পথ ভুলে শ্রাবণ দিনে
বৃষ্টি ভেজা গন্ধে দোর পানে
মুছায়ে দিব তোমারি মুখ
কিছু চাহিব না জানিতে – পেলে কি সুখ !
সবই কি আকাশের দোষ
কেন এসে চলে গেলে দুরে !
তাই আমি ঘরে থাকি শেষে
দেখা নাই পেয়ে ফিরে যদি যাও শেষে !
———-
কথোপকথন
প্রথম সম্পাদক– পুজো আসছে। চারটি কবিতা পাঠাবেন। ছোট হলে চলবে।তবে টাটকা। বুঝতে পারছেন শারদ সংখ্যা তো !
( কয়েকদিন পর)
আমি– কথা মতো চারটি পাঠিয়েছি। দেখুন। তবে সব টাটকা। হাতে গরম।
( দুদিন পর)
প স– খুব ভাল লেখা। কোথাও কিন্তু দেবেন না।
আমি– কোনো প্রশ্ন নেই। নিশ্চিন্ত থাকুন।
প স– অনেক সময় ভুল হয় তাই।
দ্বিতীয় সম্পাদক– আমি বলছি। একটি বা দুটি কবিতা দেবেন। পুজো সংখ্যা । ভাল কবিতা চাই ( দুদিন পর)
আমি– দুটি দিয়েছি দেখুন।
( কিছুদিন পর)
দি স- এসব কবিতা ছাপতে পারব না। পুজো সংখ্যা, বুঝতেই পারছেন। অনেকে পড়েন। আবার দিন।
আমি — আচ্ছা ( আর পাঠায়নি)
তৃতীয় সম্পাদক–দাদা, এখনো আপনার লেখা পেলাম না। তাড়াতাড়ি করে অন্তত একটি কবিতা বা গল্প পাঠান।
( তিনদিন পর)
আমি – হ্যাঁ ,আমি বলছি। দিয়েছি, দেখবেন।
( পরের দিন)
তৃ স — পেয়েছি । আপনি অন্যদের কত ভাল লেখা দ্যান। ঐরকম দিলে ভাল হয়।
বুঝতে পারছেন,পুজো বলে কথা, তাই না !
আমি– আচ্ছা।
( যে কবিতা দ্বিতীয় সম্পাদকের পছন্দ হয়নি সেটা দিলাম তৃতীয় সম্পাদককে)
( একদিন পরেই)
তৃ স– এবার দারুণ হয়েছে। নমস্কার। ভাল থাকবেন ।
চতুর্থ সম্পাদক– বুঝতেই পারছেন কেন ফোন করেছি । এবার এক গুচ্ছ কবিতা দেবেন।
আমি– বেশ, দু-তিনদিন পরে দিচ্ছি।
( পাঁচদিন পর)
চ স — একটা গন্ডগোল হয়ে গেছে। মনে কিছু করবেন না। মেইলে খুঁজে পাচ্ছি না আপনার লেখা। যদি….
আমি — আমার কাছে তো নেই। নদীর পাড়ে বসে লিখে পাঠিয়েছি। মনে হয় নদীতেই ভেসে গেছে।
( যারা পত্রিকা চালান তারা আমার সবাই নমস্য। কারুকে আঘাত দেবার জন্য এই লেখা নয় । শুধু বলার ,কবিতা যেদিন কবি বুঝে যাবেন সেদিন তিনি আর কবিতা লিখবেন না।তবু তিনি লেখেন ” অমরত্ব” লাভের ইচ্ছায়। কাব্য সৃষ্টির অনুপ্রেরণায় । আর কবিতা কি হলো অর নাই হলো সেই হিসেব মহাকাল বলবে)

এসএস/সিএ