চির হরিৎ বাঁশ
-বিশ্বজিৎ মানিক
কেহ কেহ প্রায়ই বলেন – বাঁশ নিয়ে কথা
বাঁশের ব্যবহার আজ – হয় যথাতথা।
আগেকার দিনেও ছিল – বাঁশের ব্যবহার
বাঁশ দিয়ে কর্মসংস্থান – যোগান আহার।
আজকাল বাঁশের খুব – অপব্যবহার হয়
বাঁশ হলো করিৎকর্মা – ফেলনা তাহা নয়।
কৃষিজীবীরাও ছিল – নির্ভরশীল বাঁশে
বাঁশের উপকরণ কতো – লাগতো হালচাষে।
শ্মশানে, কবরে হয় – বাঁশের ব্যবহার
বাঁশ বিহীন মৃতদেহের – হয় না সৎকার।
পড়ালেখা হতো আগে – বাঁশের কঞ্চির ভয়ে
অংক করা হয় আজ – ক্যালকুলেটর দিয়ে।
এসব ছিলনা তখন – ব্যবহারের ‘ আশ ‘
ধান্ধাবাজি করতে গেলেই – খেতে হতো বাঁশ।
বাঁশের মার খেয়ে যদি – নাক ফেটে যেতো
রক্ত দেখে বন্ধু কিছু – হতো মর্মাহত।
বলতো তারা, আদর করে – বাসায় চলে এসো
জানাজানি হলে ফের – বাঁশ দেবে মেসো।
ইদানীং বাঁশ নিয়ে – খুব মাতামাতি
রডের বদলে নাকি – বাঁশ দেয় ‘ পাতি ‘।
মুনাফার লাভে যারা – লোভী ঠিকাদার
রডের বিকল্প করে – বাঁশের ব্যবহার।
জীবনটাই হলো যেন – বাঁশের বাগান
চলছে দিয়েই তাহা – চাহিদার যোগান।
বাঁশ দিয়ে বেত হয় – বেতে হয় ঝাঁকা
কোন কোন ঝাঁকা হয় – মাঝে মাঝে ফাঁকা।
ফাঁকা বুলিতেও কেউ – দিতে চায় বাঁশ
মনে করে শত্রু বুঝি – হয়ে যাবে নাশ।
বন্ধু আছে কিছু কিছু – থাকে দিতে বসে
কথা দিয়ে বাঁশ দেয় – তারা রসে রসে।
প্রগতির পথে কেউ – হেঁটে যদি যায়
প্রতিদ্বন্দ্বী আছে কতো – বাঁশ নিয়ে ধায়।
আপন আছে অনেক – হিংসায় জ্বলে
সুবিধায় পেলে তারা – বাঁশ দেয় ঠেলে।
কর্তা ব্যক্তির, বাঁশ কিন্তু – মর্মান্তিক হয়
অধঃজনে বাঁশ দিলে – মরণ নিশ্চয়।
জ্ঞাতি ভ্রাতা, আপনজন – যদি দেয় বাঁশ
রক্ষা তাতে মিলবেনা – হবেই সর্বনাশ।
রাবণকে বিভীষণ – দিয়েছিল বাঁশ
লঙ্কেশ্বর পরাজিত – লংকা হয় বিনাশ।
বাঁশ দেয়া, বাঁশ খাওয়া – বন্ধ হয়ে গেলে
নির্ধিদায় চলা যায় – শত্রু মিত্র মিলে।
বাঁশ দেয়া নেয়া হলো – নৈমিত্তিক ব্যপার
দিতে কিংবা খেতে নেই – লোয়ার আপার।
কে কাকে বাঁশ দেয় – যায়নাতো বলা
প্রতিকার একমাত্র তার – সতর্কতে চলা।
১০/০৬/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
সি/এসএস
সর্বশেষ সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন