বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর আর নেই। আজ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে রাজশাহীতে শিল্পীর বোনের নিজস্ব ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এন্ড্রু কিশোরের বড় বোনের স্বামী ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সন্ধ্যায় তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতির কথা জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল।
দেশে ফেরার পর এই প্লেব্যাক সম্রাট রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় থাকা তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন।
শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে এন্ড্রু কিশোর অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এই কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাপুরে তাঁর চিকিৎসা চলে।
১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।
এ দেশের গানের কিংবদন্তি পুরুষ এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গন তথা দেশের শোবিজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এর মৃত্যুতে সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষি মানুষের মতো আমরাও শোকাহত, ভারাক্রান্ত এবং মর্মাহত। কানাডা-বাংলাদেশে নিউজ এজেন্সি সিবিএনএ, সিবিএনএ২৪ডটকম এবং দেশদিগন্ত মিডিয়ার পক্ষ থেকে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমরা বিশ্বাসকরি তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারালো এক নক্ষত্রসম সঙ্গীতশিল্পীকে যাঁরা বছরে বছরে জন্ম নেন না। সিবিএনএ পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো।
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন