করোনার কারণে দেশে আসা প্রবাসীদের ফাইল ছবি
অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্ট ১৬টি এনজিও’র অভিমত, করোনাকালের বাজেটে অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য সুদির্নিষ্ট বরাদ্দ নেই। এ সংস্থাগুলো যৌথ বিবৃতিতে দাবি জানিয়েছে, করোনার কারণে সামনের দিনগুলোতে কাজ হারিয়ে যেসব অভিবাসী দেশে ফিরবেন তাদের জন্য হাজার কোটি বরাদ্দ করা এবং রেমিট্যান্সে চার শতাংশ প্রণোদনা দিতে হবে।
রোববার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী সূচক প্রবাসী আয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন অভিবাসী কর্মীরা। বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে ইতিমধ্যে এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। করোনা সংকটেও রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ হয়নি। অথচ এই সংকটকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ৬৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। বরাদ্দের দিক থেকে সবচেয়ে নীচের দিকে রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ খাত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনার কারণে লাখ লাখ অভিবাসী কর্মী বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই কাজ হারিয়ে বাধ্য হচ্ছেন দেশে ফিরে আসতে। সরকারের নীতি নির্ধারণ পর্যায় থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, ১০ লাখ বাংলাদেশি কাজ হারিয়ে দেশে ফেরত আসতে পারেন। এছাড়াও চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত দেড় লাখ কর্মীর বিদেশ যাওয়া আটকে রয়েছে। তারা অনিশ্চয়তা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। করোনাকালের বাজেটে বিভিন্নখাতে অর্থ বরাদ্দ করা হলেও অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কথা নেই। দেশে ফেরত আসা কর্মীদের ঋণ দিতে ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফেরত আসাদের টেকসই পুনর্বাসনের কথাও নেই বাজেটে।
বিবৃতি প্রদানকারী এনজিওগুলো হলো- ওকাপ, বিএনএসকে, ব্র্যাক, আইআইডি, ওয়ারবী, বমসা, বাসুগ, ইনাফি, কর্মজীবী নারী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারী প্রগতি সংঘ, ডেভকম, ইমা, মাইগ্রেশন নিউজ ও আওয়াজ ফাউন্ডেশন।
সি/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন