সাহিত্য ও কবিতা

বদলীচেষ্টা কেন? |||| বিশ্বজিৎ মানিক


বদলীচেষ্টা কেন? |||| বিশ্বজিৎ মানিক


ঈদের ছুটির পর অফিস যাওয়া আবার

ভালো লাগছেনা খোকার অফিসেতে যাবার।


কর্মস্থলে নেই তার নিজস্ব আবাস

ইতোপূর্বে ছিল খোকার বোনের বাসায় বাস।


মহামারী কোভিড দিলো লণ্ডভণ্ড করে

ক্যামনে বলে থাকতে দাও নিজ বোনেরে?


ভগ্নিপতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যায়

সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তার প্রাণ রক্ষা পায়।


বাড়ি থাকতেই খোকাবাবু হতাশায় ভোগে

ত্রয়োদশী কন্যা তার জ্বলে উঠে রাগে।


বলে বাবা চাকরিটা তুমি ছেড়ে দাও

আমাদেরে ছেড়ে কেন যেতে তুমি চাও?


বিনয় করে বলে কন্যা তাকে অবশেষে

পেনশনের টাকাতেই খাবো সবে মিলে মিশে।


বাবা বলে শোন কন্যা আমার কথন

অতিশীঘ্র হবেনাতো মঞ্জুর পেনশন।


বাবার কথা শুনে কন্যার মন হয়ে যায় ভারী

বদলীচেষ্টা করো বলে বাবা তাড়াতাড়ি।


অজানা শঙ্কায় তার মন ভারাক্রান্ত হয়

তাইতো এরূপ কথা কন্যা  পিতাকে তার কয়।


সপ্তাহান্তে আসবো বাড়ি কন্যাকে সে বলে

আদর সোহাগ করে খোকা কর্মস্থলে চলে।


কর্মক্ষেত্রে খোকাবাবুর কর্তা খুবই ভালো

গাড়ি নিয়ে যাবার বেলা বলেন খোকা চলো।


সমস্যা থাকলে কিছু বলবে আমায় খোলে

তুমিও কিন্তু কর্মকর্তা যাওনা যেন ভুলে।


পরিবারে আছে তোমার স্ত্রী কন্যা শুধু

বিব্রতবোধ করবেনা তাই ছুটি নিতে কভু।


প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোকাবাবু ভাবে

অকারণে কেন খোকা ছুটি নিয়ে যাবে?


সমস্যাটি হলো খোকার পুরুষ শুণ্য বাড়ি

একারণেই হতে চায় বদলী তাড়াতাড়ি।


বদলী হলে খোকা বাবুর সংসার হবে সুখের

উপকারও অনেক হবে জেলা বাসী লোকের।


উপরোক্ত কারণেই তার বদলীর চেষ্টা করা

নতুবা এ কর্মক্ষেত্রই সবার মাঝে সেরা।


০৫/০৮/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।


সংবাদটি শেয়ার করুন